ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপুল ভোটে রাসিকের মেয়র নির্বাচিত হলেন লিটন

বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে এবার স্থান করে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। আজ বুধবার রাতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ১৫৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রাসিকের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। ১৫৫টি কেন্দ্রের পাওয়া ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩টি ভোট। গোলাপ ফুল ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট ও লাঙ্গল ৯ হাজার ৪৫৬ ভোট। এদিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এবারই প্রথম রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হলো। একই সাথে এবাই প্রথম ইতিহাসে সবচেয়ে কম প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী ও কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েই শেষ হলো ষষ্ঠ বারের রাসিক নির্বাচন। এর মধ্যে বাগড়া বাধিয়েছিল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ছিল ইভিএম জটিলতাও। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে নানান রকমের আশঙ্কা করা হলেও দিনভর দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবার। উপস্থিতি কম থাকার কারণে ভোট অতটা উৎসব মুখর না হলেও ছিল পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তারা ৪ টার পরও ভোট দিতে পারছেন। ভোট গ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

অপরদিকে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি তিনজনের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) মাঠে সক্রিয় ছিলেন না।

এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিপুল ভোটে রাসিকের মেয়র নির্বাচিত হলেন লিটন

আপডেট সময় ১১:৪৮:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারো রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তবে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসাবে এবার স্থান করে নিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী। আজ বুধবার রাতে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ১৫৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করেন রাসিকের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। ১৫৫টি কেন্দ্রের পাওয়া ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতিকে পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের মরশিদ আলম হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩৯৩টি ভোট। গোলাপ ফুল ১১ হাজার ৫৮৪ ভোট ও লাঙ্গল ৯ হাজার ৪৫৬ ভোট। এদিকে বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এবারই প্রথম রাজশাহী সিটি করপোরেশনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হলো। একই সাথে এবাই প্রথম ইতিহাসে সবচেয়ে কম প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী ও কম ভোটার উপস্থিতি নিয়েই শেষ হলো ষষ্ঠ বারের রাসিক নির্বাচন। এর মধ্যে বাগড়া বাধিয়েছিল বৃষ্টি। সেই সঙ্গে ছিল ইভিএম জটিলতাও। তবে নির্বাচনের শুরু থেকে নানান রকমের আশঙ্কা করা হলেও দিনভর দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবার। উপস্থিতি কম থাকার কারণে ভোট অতটা উৎসব মুখর না হলেও ছিল পরিবেশ ছিল শান্তিপূর্ণ।

বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছিলেন তারা ৪ টার পরও ভোট দিতে পারছেন। ভোট গ্রহণ শেষে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।

অপরদিকে, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থী ছিলেন। তবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাকি তিনজনের মধ্যে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙল) ও জাকের পার্টি মনোনীত লতিফ আনোয়ার (গোলাপফুল) মাঠে সক্রিয় ছিলেন না।

এবার রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে ১১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন। সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। রাজশাহী সিটিতে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৩০ হাজার ১৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন, নারী ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার ৬ জন।