ঢাকা ১১:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

রংপুরে পত্রিকার নামে সাইনবোর্ড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

রংপুরে তথ্যমন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত পত্রিকা, দৈনিক বায়ান্নর আলোর নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল, মিথ্যা মামলায় জরিয়ে হত্যার হুমকিসহ চরম হয়রানির অভিযোগ, পত্রিকার প্রকাশক জামাত নেতা, ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল এর বিরুদ্ধে।

২১ জুন ২৩ ইং রংপুর রিপোটার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, রংপুর মহানগরীর কলেজ রোড মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান’র পক্ষে তার  ছেলে, আহমেদ আল হাইসাম বিন রহমান সাগর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ ১৯৬৭-৬৯ সালের বৃহত্তর রংপুরের আওয়ামী ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনাদেরকে গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছি কুড়িগ্রাম ও মোগলহাটে । সিনিয়র সহকারি জজ আদালত সদর রংপুরের অন্য ২৮/৯৭ ইং রায় মোতাবেক ডিপি খতিয়ান – ২২৭ এর মালিক আজিজার রহমনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ  আব্দুল হাকিম, খলিলুর রহমান,এনামুল হকের নিকট থেকে ১১/০৩/১৯৯৭ ইং সালে ২৬১৫ নং দলিল মুলে আমি সাবেক (২৩১+২৩২) দাগে, হাল ২৫৯ দাগে ৩২ শতক জমি ক্রয় করি এবং ডিজিটাল খারিজ করি এবং খাজনাও পরিশোধ করি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ২৩/১২/২০২০ইং তারিখের অনুমোদন সাপেক্ষ্য হাল দাগ ২৫৯ পাহাড়ী এলপিজি ফিলিং স্টেশন নামে গ্যাস পাম্প স্থাপনের অনুমোদন দেন এবং আমি সেখানে তখন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। এর মধ্যে জামায়াত ঘোষিত মৌলবাদীর মুখপাত্র হিসাবে পরিচিত দৈনিক বায়ান্নের আলোর পত্রিকার প্রকাশক ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল অভিনব কায়দায় আজিজার নামীয় ডি.পি খতিয়ান ২২৭ কে জাল করিয়া মোঃ আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, ও আনোয়ারুল হকের নামে মিথ্যা ভাবে ডি.পি খতিয়ান সাবরেজিষ্টার রংপুর সদরের কাছে তা উপস্থাপন করে ৩০/০৬/২০১৬ ইং তারিখে ১০৫৭৯ নং দলিল দৈনিক বায়ান্নের আলোর প্রকাশক ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান তার নিজ নামে তৈরি করে এবং আমার ৩২ শতক জমির পূর্ব পার্শ্বে গোডাউন ঘরে দৈনিক বায়ান্নের আলোর ছাপাখানার নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বে-দখল করার চেষ্টা করে। বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশ সরকারের উপর-মহলের কন্ঠ ও মন্ত্রী মহোদয়ের কন্ঠ নকল করে ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান নিজেকে সরকারের একান্ত আপনজন পরিচয় দিয়ে বে-আইনি সুবিধা আদায় করছে। বায়ান্নর আলো  পত্রিকাকে অপব্যবহার করে জমি দখল করে আসছে।

আমি একজন প্রবীন ছাত্রলীগ সভাপতি, ৬ দফা আন্দোলনের জাতীর পিতার সঙ্গে রাজনীতি করা লোক হওয়া সত্ত্বেও আমাকে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হত্যা গুম খুনের চেষ্টায় লিপ্ত আছে। যার জিআর নাম্বার-৫৪/২৩ থানা হাজিরহাট, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। উল্লেখ্য তার প্রকাশিত অনলাইন মিডিয়া দৈনিক বায়ান্নর আলো এবং বিভিন্ন পত্রিকায় জমির দখলের সত্বের রায় পাওয়ার কথা প্রচার করে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। অথচ কত নং মামলায় তিনি রায় পেয়েছেন তা পত্রিকায় উল্লেখ করেননি। ১৯৬৭ থেকে ২০২৩ সালের অদ্যকার দিন পর্যন্ত ফারুক আজম সোবহান ছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোন দিন কোন থানায় জিডি বা মামলা নেই।
আমার প্রিয় নেতা অভিভাবক মরহুম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাত বরণ করার পর, এদেশের রাজাকার দেশ বিরোধীগণ থেমে নেই। আপনারা জানেন দৈনিক বায়ান্নোর আলো পত্রিকার ডিএফপির অনুমোদন নেই ও কালো পত্রিকা হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত। দৈনিক বায়ান্নোর আলো পত্রিকা ঘুষ দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে পাশাপাশি নিয়োগ বানিজ্য আদম ব্যবসা এবং অনেককে চাকুরী দেওয়া নাম করে পত্রিকার প্রকাশক নিজ নামীয় চেক বিভিন্ন জনকে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ প্রতারণায় ব্যস্ত এবং এই বিষয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করলে দৈনিক বায়ান্নর আলো পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে আসছে।
 ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান, সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করে ভুয়া দলিল তৈরি করে আদালতে সিভিল মামলা করে এবং রায় পাওয়ার আগে
পত্রিকার মাধ্যমে বে-আইনী ভাবে জমি দখল করে পত্রিকার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিচ্ছে। আমি আজ-জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনাদের নিকট জোর আবেদন, সমুদয় ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করছি। আপনাদের প্রচার ও লেখনীর মাধ্যমে। সেই সাথে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আহমেদ আল হাইসাম বিন রহমান সাগর বলেন, ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান এবং তার অন্যতম হোতা বায়ান্নর আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল অনেক মানুষের সম্পত্তি নানান ফন্দিফিকিরের মাধ্যমে দখল করে রেখেছেন।  অনেক অসহায় মানুষ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।
 কেউ কথা বললেই তাদেরকে অন্যায়ভাবে হামলা, মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এই ভূমিদস্যুরা। শুধু তাই নয় প্রতারক সোবাহান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের কন্ঠ নকল করে অনেক মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। এবিষয় আমরা ঢাকায় গিয়ে নানক ভাইকে জানিয়েছি।
পরে তিনি তৎকালীন রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান মহোদয়-কে তৎক্ষনাৎ ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আরও বলেন, আমরা খুব অসহায় অবস্থায় আছি, জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে সহযোগিতা চাই।
Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রতিকার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন

রংপুরে পত্রিকার নামে সাইনবোর্ড দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:২৭:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

রংপুরে তথ্যমন্ত্রণালয়ের কালো তালিকাভুক্ত পত্রিকা, দৈনিক বায়ান্নর আলোর নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখল, মিথ্যা মামলায় জরিয়ে হত্যার হুমকিসহ চরম হয়রানির অভিযোগ, পত্রিকার প্রকাশক জামাত নেতা, ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল এর বিরুদ্ধে।

২১ জুন ২৩ ইং রংপুর রিপোটার্স ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে, রংপুর মহানগরীর কলেজ রোড মাষ্টার পাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আব্দুর রহমান’র পক্ষে তার  ছেলে, আহমেদ আল হাইসাম বিন রহমান সাগর লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি বর্তমানে বয়োবৃদ্ধ ১৯৬৭-৬৯ সালের বৃহত্তর রংপুরের আওয়ামী ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনাদেরকে গভীর দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছি কুড়িগ্রাম ও মোগলহাটে । সিনিয়র সহকারি জজ আদালত সদর রংপুরের অন্য ২৮/৯৭ ইং রায় মোতাবেক ডিপি খতিয়ান – ২২৭ এর মালিক আজিজার রহমনের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ  আব্দুল হাকিম, খলিলুর রহমান,এনামুল হকের নিকট থেকে ১১/০৩/১৯৯৭ ইং সালে ২৬১৫ নং দলিল মুলে আমি সাবেক (২৩১+২৩২) দাগে, হাল ২৫৯ দাগে ৩২ শতক জমি ক্রয় করি এবং ডিজিটাল খারিজ করি এবং খাজনাও পরিশোধ করি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ২৩/১২/২০২০ইং তারিখের অনুমোদন সাপেক্ষ্য হাল দাগ ২৫৯ পাহাড়ী এলপিজি ফিলিং স্টেশন নামে গ্যাস পাম্প স্থাপনের অনুমোদন দেন এবং আমি সেখানে তখন থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। এর মধ্যে জামায়াত ঘোষিত মৌলবাদীর মুখপাত্র হিসাবে পরিচিত দৈনিক বায়ান্নের আলোর পত্রিকার প্রকাশক ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল অভিনব কায়দায় আজিজার নামীয় ডি.পি খতিয়ান ২২৭ কে জাল করিয়া মোঃ আমিনুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, ও আনোয়ারুল হকের নামে মিথ্যা ভাবে ডি.পি খতিয়ান সাবরেজিষ্টার রংপুর সদরের কাছে তা উপস্থাপন করে ৩০/০৬/২০১৬ ইং তারিখে ১০৫৭৯ নং দলিল দৈনিক বায়ান্নের আলোর প্রকাশক ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান তার নিজ নামে তৈরি করে এবং আমার ৩২ শতক জমির পূর্ব পার্শ্বে গোডাউন ঘরে দৈনিক বায়ান্নের আলোর ছাপাখানার নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বে-দখল করার চেষ্টা করে। বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশ সরকারের উপর-মহলের কন্ঠ ও মন্ত্রী মহোদয়ের কন্ঠ নকল করে ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান নিজেকে সরকারের একান্ত আপনজন পরিচয় দিয়ে বে-আইনি সুবিধা আদায় করছে। বায়ান্নর আলো  পত্রিকাকে অপব্যবহার করে জমি দখল করে আসছে।

আমি একজন প্রবীন ছাত্রলীগ সভাপতি, ৬ দফা আন্দোলনের জাতীর পিতার সঙ্গে রাজনীতি করা লোক হওয়া সত্ত্বেও আমাকে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে হত্যা গুম খুনের চেষ্টায় লিপ্ত আছে। যার জিআর নাম্বার-৫৪/২৩ থানা হাজিরহাট, আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। উল্লেখ্য তার প্রকাশিত অনলাইন মিডিয়া দৈনিক বায়ান্নর আলো এবং বিভিন্ন পত্রিকায় জমির দখলের সত্বের রায় পাওয়ার কথা প্রচার করে এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে। অথচ কত নং মামলায় তিনি রায় পেয়েছেন তা পত্রিকায় উল্লেখ করেননি। ১৯৬৭ থেকে ২০২৩ সালের অদ্যকার দিন পর্যন্ত ফারুক আজম সোবহান ছাড়া আমার বিরুদ্ধে কোন দিন কোন থানায় জিডি বা মামলা নেই।
আমার প্রিয় নেতা অভিভাবক মরহুম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদাত বরণ করার পর, এদেশের রাজাকার দেশ বিরোধীগণ থেমে নেই। আপনারা জানেন দৈনিক বায়ান্নোর আলো পত্রিকার ডিএফপির অনুমোদন নেই ও কালো পত্রিকা হিসেবে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তালিকাভুক্ত। দৈনিক বায়ান্নোর আলো পত্রিকা ঘুষ দূর্নীতির মাধ্যমে সরকারি বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে পাশাপাশি নিয়োগ বানিজ্য আদম ব্যবসা এবং অনেককে চাকুরী দেওয়া নাম করে পত্রিকার প্রকাশক নিজ নামীয় চেক বিভিন্ন জনকে ভুয়া নিয়োগ দিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ প্রতারণায় ব্যস্ত এবং এই বিষয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করলে দৈনিক বায়ান্নর আলো পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করে আসছে।
 ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান, সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করে ভুয়া দলিল তৈরি করে আদালতে সিভিল মামলা করে এবং রায় পাওয়ার আগে
পত্রিকার মাধ্যমে বে-আইনী ভাবে জমি দখল করে পত্রিকার সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিচ্ছে। আমি আজ-জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আপনাদের নিকট জোর আবেদন, সমুদয় ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করছি। আপনাদের প্রচার ও লেখনীর মাধ্যমে। সেই সাথে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে, আহমেদ আল হাইসাম বিন রহমান সাগর বলেন, ফারুখ আজম সোবহান ওরফে আব্দুস সোবহান এবং তার অন্যতম হোতা বায়ান্নর আলোর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল অনেক মানুষের সম্পত্তি নানান ফন্দিফিকিরের মাধ্যমে দখল করে রেখেছেন।  অনেক অসহায় মানুষ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা।
 কেউ কথা বললেই তাদেরকে অন্যায়ভাবে হামলা, মামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এই ভূমিদস্যুরা। শুধু তাই নয় প্রতারক সোবাহান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের কন্ঠ নকল করে অনেক মানুষের সাথে প্রতারণা করেছেন। এবিষয় আমরা ঢাকায় গিয়ে নানক ভাইকে জানিয়েছি।
পরে তিনি তৎকালীন রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান মহোদয়-কে তৎক্ষনাৎ ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার আরও বলেন, আমরা খুব অসহায় অবস্থায় আছি, জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজের কাছে সহযোগিতা চাই।