ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় ১৬-তম মিডিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ৬দলের জার্সি উন্মোচন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলার আহবায়ক কমিটি ঘোষণা ভারত-বিরোধিতার অভিযোগ নিয়ে আনন্দবাজারকে যা বললেন জামায়াত আমির ছাত্রদল নেতাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদ গ্রেফতার পটুয়াখালীতে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন পশ্চিমা আদর্শ-সংস্কৃতির বিষয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন বায়তুল মোকাররমের খতিব পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু কুমিল্লায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আল-আমিন গ্রেফতার বোরহানউদ্দিনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ফাঁসাতে নিজ ঘরে আগুন আওয়ামীলীগ নেতার ফিউচার ক্যাডেট একাডেমি, পটুয়াখালী শাখা’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ; প্রশংসায় ভাসছে একাডেমিটি

রাজশাহীর পবায় সংস্কারের নামে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

রাজশাহীর পবা উপজেলার দুর্গাপারিলা গ্রামের একটি ছোট বিলে সংস্কারের নামে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় কৃষকরা পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবা থানার দুর্গাপারিলা গ্রামের বিলে তিন ফসলী প্রায় ১৫০ বিঘা চাষাবাদের জমি রয়েছে। বিলের উত্তর পাশ দিয়ে জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। পাশেই রয়েছে ছোট একটি পুকুর। বর্তমান ওই পুকুরটি এলাকার জামাল হোসেন, নুরুজ্জামানসহ কয়েকজন ব্যক্তি সংস্কার করছেন।

কিন্তু পুরোনো পুকুরটি সংস্কারের নামে তারা তিন ফসলী জমি সীমানা করে পাড় দেয়া শুরু করেছে। এতে দেখা দেখা যায়, পুকুরের পাড়ের বাঁধের কারণে ১৫০ বিঘা সম্পত্তির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে জেনেও পুকুর খননকারীরা প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি খননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুর খননে বাধা দেয়ায় রীতিমত জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকদের হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগকারী ওই বিলের জমির মালিক রুহুল আমীন বলেন, পুকুরটি সংস্কার করলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন পুকুরটি সংস্কারের নামে আশপাশে আরো ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমি সীমানা করে বড় আকারে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে। এতে পুকুরটির পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কৃষকদের পুরো জমি জলাবদ্ধার সৃষ্টি হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ওই বিলের প্রায় দেড়শ বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়বে। এসব জমিতে কোনো ফসল আর হবে না। এতে জমির মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে পুকুর খননকারীরা বলছেন, তারা পুরাতন পুকুরটি সংস্কার করছেন। এতে পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কিছু জমি পাড় দেয়ার জন্য বাড়ানো হয়েছে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বলেও তারা বন্তব্য করেন।

এব্যাপারে পবা উপজেলার এসিল্যান্ড অভিজিত সরকার জানান, পুকুর খননের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুকুর খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে এব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় ১৬-তম মিডিয়া ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ৬দলের জার্সি উন্মোচন

রাজশাহীর পবায় সংস্কারের নামে ফসলি জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৫৯:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ জুন ২০২৩

রাজশাহীর পবা উপজেলার দুর্গাপারিলা গ্রামের একটি ছোট বিলে সংস্কারের নামে তিন ফসলী জমিতে পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে পুকুর খনন বন্ধে স্থানীয় কৃষকরা পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পবা থানার দুর্গাপারিলা গ্রামের বিলে তিন ফসলী প্রায় ১৫০ বিঘা চাষাবাদের জমি রয়েছে। বিলের উত্তর পাশ দিয়ে জমির পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল। পাশেই রয়েছে ছোট একটি পুকুর। বর্তমান ওই পুকুরটি এলাকার জামাল হোসেন, নুরুজ্জামানসহ কয়েকজন ব্যক্তি সংস্কার করছেন।

কিন্তু পুরোনো পুকুরটি সংস্কারের নামে তারা তিন ফসলী জমি সীমানা করে পাড় দেয়া শুরু করেছে। এতে দেখা দেখা যায়, পুকুরের পাড়ের বাঁধের কারণে ১৫০ বিঘা সম্পত্তির পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলবদ্ধতার সৃষ্টি করবে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেলে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে। এছাড়াও কৃষকরা ক্ষতির মুখে পড়বে জেনেও পুকুর খননকারীরা প্রভাব খাটিয়ে পুকুরটি খননের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পুকুর খননে বাধা দেয়ায় রীতিমত জমির মালিক ও স্থানীয় কৃষকদের হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগকারী ওই বিলের জমির মালিক রুহুল আমীন বলেন, পুকুরটি সংস্কার করলে কোনো সমস্যা ছিল না। কিন্তু এখন পুকুরটি সংস্কারের নামে আশপাশে আরো ১২ থেকে ১৫ বিঘা জমি সীমানা করে বড় আকারে পুকুরটি খনন করা হচ্ছে। এতে পুকুরটির পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কৃষকদের পুরো জমি জলাবদ্ধার সৃষ্টি হবে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকলে ওই বিলের প্রায় দেড়শ বিঘা জমি পতিত হয়ে পড়বে। এসব জমিতে কোনো ফসল আর হবে না। এতে জমির মালিকরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। তবে পুকুর খননকারীরা বলছেন, তারা পুরাতন পুকুরটি সংস্কার করছেন। এতে পূর্ব ও দক্ষিন পাশের কিছু জমি পাড় দেয়ার জন্য বাড়ানো হয়েছে। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বলেও তারা বন্তব্য করেন।

এব্যাপারে পবা উপজেলার এসিল্যান্ড অভিজিত সরকার জানান, পুকুর খননের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পর পুকুর খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। সরজমিন পরিদর্শন করে এব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।