খুলনা ও বরিশাল দুই নগরীতে কে হবেন নগরপিতা এমন আলোচনাই হচ্ছে দুই সিটিতে। জমজমাট প্রচারণা শেষে নগরজুড়ে উৎসবের আমেজ যেমন আছে তেমনি শঙ্কাও আছে ভোটারদের মধ্যে।
ভোট গ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।
খুলনায় ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৬১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে মেট্রোপলিটন পুলিশ। ভোটের দিন নগরে থাকবে ৩ হাজার ৯০০ পুলিশ ও ৪ হাজার ৬০০ আনসার।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, চেকপোস্টের মূল উদ্দেশ্য হলো- কোন মানুষ যেন বিস্ফোরক দ্রব্য বা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অত্র এলাকায় ঢুকতে না পারে সেটা জোরদার করা।
এবার ভোট হবে ইভিএমে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন। খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন জানান, পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। জনগণ যেন নিজের ভোটটা নিজে দিতে পারে সেজন্য সব পদক্ষেপ আমরা গ্রহণ করবো।
এদিকে, বরিশালে মোট ভোট কেন্দ্র ১২৬টি। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১০৬টি। এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য। তাদের পক্ষপাতহীনভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার। এরইমধ্যে নির্বাচনি এলাকায় পৌঁছেছে ১০ প্লাটুন বিজিবি। সেই সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
বরিশাল সিটি নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় বসানো হয়েছে ১১শর বেশি সিসি ক্যামেরা। নগরের নিরাপত্তায় বহিরাগতের নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।