ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপরাধীদের দখলে থাকা মনপুরা দ্বীপকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে নতুন ওসি জহিরুল ইসলামের যোগদান

খুন – ধর্ষণ মারামারি কাটাকাটি, ভূমি দস্যু, জলদস্যুতে ঘেরা এ দ্বীপের নাম মনপুরা উপজেলা। ভোলা জেলার বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপটিতে নানা রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে হয় থানার অফিসার ইনচার্জদের।

নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার স্থান দখল করে আছে দ্বীপ মনপুরার এই জনপথটি।। এসব নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার মনপুরা উপজেলার ওসি হিসাবে যোগদান করেছেন, ভোলা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের চৌকস অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম। মনপুরা থানায় নব নিযুক্ত ওসি জহিরুল ইসলাম ২০০৭ সালে ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টর হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে সিআইডি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে, সিআইডিতে কর্মরত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডাকাতি খুন মানব পাচার মামলার রহস্য উদঘাটন করে আলোচনায় আসেন ওসি জহিরুল ইসলাম।

এরপর বাংলাদেশ র্যাব বাহিনীতে কর্মরত হয়ে চোরা কারবাড়ী,কালো কারবাড়ি, বিভিন্ন ফেরারি আসামি ও পলাতক সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে বিভাগীয়ভাবে সুনাম বয়ে আনেন। অতঃপর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত থাকাকালীন চাঞ্চল্যকর অস্ত্র উদ্ধার ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে ২০১৬ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে বরিশাল জেলা ডিবিতে যোগদান করেন।

পুলিশ বাহিনীর চৌকস ডিবিতে কর্মরত থাকাকালীন অস্ত্র উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন করেন অত্যান্ত সাফল্যের সাথে। বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন আলোচিত ডাকাতি মামলার ও ৪ খুন মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। সাথে সাথে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ মামলা রহস্য উদঘাটন করেনও তিনি।

অতঃপর ২০২১ সালে ভোলা জেলার মির্জাকালু পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে থাকাকালীন ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং বিভিন্ন জলদস্যু গ্রেপ্তার করে ফের আলোচনা এসে সুনামের সহিত দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, অফিসার ইনচার্জ সাইবার ক্রাইম ইউনিটিতে, অবশেষে গত ৫ জুন ২০২৩ এক বদলি আদেশে জহিরুল ইসলামকে অপরাধীদের নগরী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা থান অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অপরাধীদের নগরী বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সকল চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজ ৭জুলাই ২০২৩ তিনি মনপুরা থানায় যোগদান করেন।

নবনিযুক্ত মনপুরার ওসি জহিরুল ইসলামকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তার ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি জানান কোন অপরাধী এই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সকল অপরাধী চক্রদের খুঁজে বের করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দলমতের ঊর্ধ্বে মনপুরা বাসির সেবায় কাজ করবো।

ওসি জহিরুল ইসলামের কৃতিত্ব ও নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে ভোলার বিজ্ঞ পুলিশ সুপার জানান, মনপুরা থানার সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নতুন ওসি জহিরুল ইসলাম আশা করি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

এছাড়া কোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সার্বক্ষণিক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয় আমি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবো। যে কোন অপরাধমূলক তথ্য পেলে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অপরাধীদের দখলে থাকা মনপুরা দ্বীপকে সন্ত্রাস মুক্ত করতে নতুন ওসি জহিরুল ইসলামের যোগদান

আপডেট সময় ০৫:২২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

খুন – ধর্ষণ মারামারি কাটাকাটি, ভূমি দস্যু, জলদস্যুতে ঘেরা এ দ্বীপের নাম মনপুরা উপজেলা। ভোলা জেলার বিচ্ছিন্ন এ দ্বীপটিতে নানা রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে হয় থানার অফিসার ইনচার্জদের।

নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার স্থান দখল করে আছে দ্বীপ মনপুরার এই জনপথটি।। এসব নানা চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার মনপুরা উপজেলার ওসি হিসাবে যোগদান করেছেন, ভোলা সাইবার ক্রাইম ইউনিটের চৌকস অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম। মনপুরা থানায় নব নিযুক্ত ওসি জহিরুল ইসলাম ২০০৭ সালে ক্যাডেট সাব ইন্সপেক্টর হিসাবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন।

এক বছরের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষে সিআইডি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করে, সিআইডিতে কর্মরত থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডাকাতি খুন মানব পাচার মামলার রহস্য উদঘাটন করে আলোচনায় আসেন ওসি জহিরুল ইসলাম।

এরপর বাংলাদেশ র্যাব বাহিনীতে কর্মরত হয়ে চোরা কারবাড়ী,কালো কারবাড়ি, বিভিন্ন ফেরারি আসামি ও পলাতক সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে বিভাগীয়ভাবে সুনাম বয়ে আনেন। অতঃপর খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত থাকাকালীন চাঞ্চল্যকর অস্ত্র উদ্ধার ও ডাকাতি মামলার রহস্য উদঘাটন করে ২০১৬ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে বরিশাল জেলা ডিবিতে যোগদান করেন।

পুলিশ বাহিনীর চৌকস ডিবিতে কর্মরত থাকাকালীন অস্ত্র উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন করেন অত্যান্ত সাফল্যের সাথে। বরিশাল জেলার বানারীপাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন আলোচিত ডাকাতি মামলার ও ৪ খুন মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। সাথে সাথে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হিসাবে কর্মরত থাকাকালীন গুরুত্বপূর্ণ মামলা রহস্য উদঘাটন করেনও তিনি।

অতঃপর ২০২১ সালে ভোলা জেলার মির্জাকালু পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে থাকাকালীন ধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং বিভিন্ন জলদস্যু গ্রেপ্তার করে ফের আলোচনা এসে সুনামের সহিত দায়িত্বপ্রাপ্ত হন, অফিসার ইনচার্জ সাইবার ক্রাইম ইউনিটিতে, অবশেষে গত ৫ জুন ২০২৩ এক বদলি আদেশে জহিরুল ইসলামকে অপরাধীদের নগরী বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মনপুরা থান অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অপরাধীদের নগরী বিচ্ছিন্ন দ্বীপের সকল চ্যালেঞ্জ নিয়ে আজ ৭জুলাই ২০২৩ তিনি মনপুরা থানায় যোগদান করেন।

নবনিযুক্ত মনপুরার ওসি জহিরুল ইসলামকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তার ভূমিকা নিয়ে জানতে চাইলে, তিনি জানান কোন অপরাধী এই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সকল অপরাধী চক্রদের খুঁজে বের করতে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দলমতের ঊর্ধ্বে মনপুরা বাসির সেবায় কাজ করবো।

ওসি জহিরুল ইসলামের কৃতিত্ব ও নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে ভোলার বিজ্ঞ পুলিশ সুপার জানান, মনপুরা থানার সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নতুন ওসি জহিরুল ইসলাম আশা করি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

এছাড়া কোন অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সার্বক্ষণিক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হয় আমি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবো। যে কোন অপরাধমূলক তথ্য পেলে আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।