ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুলকে (এমপি) প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আলাউদ্দিন সর্দারকে গ্রেফতারের দাবীতে আবারও উত্তপ্ত বোরহানউদ্দিনের পরিবেশ।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) আলাউদ্দিন সর্দার ভার্চ্যুয়ালি এক ভিডিও কলে গত শনিবার (৩ জুন) এ হুমকি দেন।
হুমকির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এতে আলাউদ্দিন সর্দারকে বলতে শোনা যায়,‘ইনশাআল্লাহ আমি দাঁড়াব, এরপর যদি এমপি আলী আজম মুকুল কিছু করে। তাহলে আমি আপনাকে বলে রাখি, প্রকাশ্যে আমিই এমপি আলী আজমকে মেরে ফেলবো। আমি একাই তাকে মেরে ফেলবো, কাউকে লাগবে না’। এসময় এমপিকে তুইতোকারি করেও উত্তেজিত কণ্ঠে তাকে আক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
এতে বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান এলাকায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন থানায় ছাত্রলীগের সভাপতি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এমপিকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আজ বুধবার (৭ জুন) বিকাল ৫টার দিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেন সচেতন নাগরিক ফরম।
এই সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন- সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন সর্দার ও তার ছেলে রোহান এরা পক্ষিয়াবাসীকে জিম্মি করে চাঁদাবাজী করে আসছে, এই সন্ত্রাসী আলাউদ্দিন চেয়ারম্যান হওয়ার আগে গার্মেন্টসের ঝুট চুরি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে, দীর্ঘদিন জেলহাজতে ছিলেন। তার ছেলে রোহান সহ আর-ও ৫ জন কিছু দিন আগে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে নুর মিয়ার হাট স্হানীয় লোকজনের হাতে আটক হয়, পরে স্হানীয়রা দৌলতখান থানায় সোপর্দ করেন। এছাড়াও সাংবাদিক মিজান আলাউদ্দিন সর্দারের অনিয়ম ও নির্যাতিত মানুষের কথা পত্রিকায় তুলে ধরলে, তার ছেলে সহ ১০-১২ জন মিলে মিজানের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় এই সন্ত্রাসী রোহান। তাদের বাপ-ছেলের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষকে ইউনিয়ন পরিষদে লাঞ্ছিত করারও অভিযোগ আছে।উপজেলা পরিষদে মাসিক মিটিংয়ে সবার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য লালমোহন সার্কেল (এসপি) মাজহারুল ইসলাম বলেন – আলাউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।