ঢাকার ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে হাজেরা বেগম (৪৫) এক গৃহবধুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও সতীন বিরোদ্ধে। এঘটনায় হাজেরা বেগম নিজে বাদি হয়ে ৪জনের নাম উল্লেখ্য করে ধামরাই থানায় ও বাংলাদেশ মানবাধিকার ধামরাই উপজেলা শাখায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত ৩০ মে রাতে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।
ভোক্তভূগী হাজেরা বেগম উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের নান্নার গ্রামের হাবিবুর রহমান হাবুল এর স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন ভোক্তভূগীর স্বামী হাবিবুর রহমান হাবুল (৫০) পিতা মৃত লাল চান বেপারী,ভোক্তভূগীর সতীন সেলিনা বেগম (৪২) স্বামী হাবিবুর রহমান হাবুল,সেলিম (১৯) পিতা হাবিবুর রহমান হাবুল,সুফিয়া বেগম (৬৫) স্বামী মৃত লাল চান বেপারী।
জানাযায়,অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হাবুল দুইটি বিয়ে করেছেন,২য় বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহের কারন প্রায়ই দুই সতীনের মধ্য কথা কাটাকাটি হয়। ঘটনার দিন পর্ব পরিকল্পিত ভাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা বাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে। মারামারির এক পর্যায়ে বাদির ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এসে মুমূর্ষু অবস্থায় বাদি হাসপাতালে ভর্তি করে। ভোক্তভূগী হাজেরা বেগম বলেন,আমার স্বামী ও সতীন মাঝে মধ্যেই আমার উপর হামলা চালায়,ওই দিন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমি প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যা করার জন্য মারধর করে। আমি এর বিচার চাই।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ধামরাই উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, অভিযুগ পেয়ে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য আমাদের তদন্ত কমিটিকে পাঠানে হয়েছে,তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মধ্যমে অভিযুক্তদের কারন দর্শানের নোটিশ দেয়া হয়েছে।