ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ের ১৫ দিনেই ভাঙলো দাদি-নাতির সংসার

ভোলার চরফ্যাশনে দাদিকে নাতির বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় ভেঙেছে তাদের সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে দাদি সামসুন্নাহার ঘর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। নাতি মিরাজ নিজের বাড়িতেই আছেন। তবে তাদের বিচ্ছেদের খবরে খুশি এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন জানান, ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেন দাদি-নাতি। এ বিয়ে শরিয়তে সম্পূর্ণ অবৈধ। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার তাদের বিচ্ছেদ হয়। এতে করে আমরা মনে করি এলাকা থেকে একটি পাপ দূর হয়েছে। কারণ তাদের সংসার যদি বেশি দিন থাকতো তাহলে আরও অনেক দাদি-নাতি এমন ভুল করে ফেলতেন।

দাদি-নাতির বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়টি বুধবার (৭ জুন) বিষয়টি গণমাধ্যকে নিশ্চিত করে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকার বড় মসজিদের ইমাম আলেম মো. মুছা।

তিনি বলেন, দাদি-নাতির বিয়ে শরিয়তে জায়েজ নেই। তাই মঙ্গলবার স্থানীয় আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা মিলে তাদের নিয়ে বসেন। শরিয়তের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সামনে সংসার বিচ্ছেদ করে দুজনই নিজেদের আলাদা বাড়িতে চলে যান।

মিরাজের বাবা মো. জসিম মাঝি বলেন, মঙ্গলবার আমরা বিয়ের বিষয় নিয়ে বসি। পরে তাদের বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উভয়ের সম্মতিতে এ বিচ্ছেদ হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ের ১৫ দিনেই ভাঙলো দাদি-নাতির সংসার

আপডেট সময় ০২:৩৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩

ভোলার চরফ্যাশনে দাদিকে নাতির বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় ভেঙেছে তাদের সংসার। বিচ্ছেদের পর থেকে দাদি সামসুন্নাহার ঘর তালাবদ্ধ করে রেখেছেন। নাতি মিরাজ নিজের বাড়িতেই আছেন। তবে তাদের বিচ্ছেদের খবরে খুশি এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন জানান, ভোলায় গিয়ে বিয়ে করেন দাদি-নাতি। এ বিয়ে শরিয়তে সম্পূর্ণ অবৈধ। বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় মঙ্গলবার তাদের বিচ্ছেদ হয়। এতে করে আমরা মনে করি এলাকা থেকে একটি পাপ দূর হয়েছে। কারণ তাদের সংসার যদি বেশি দিন থাকতো তাহলে আরও অনেক দাদি-নাতি এমন ভুল করে ফেলতেন।

দাদি-নাতির বিয়ে বিচ্ছেদের বিষয়টি বুধবার (৭ জুন) বিষয়টি গণমাধ্যকে নিশ্চিত করে হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজার এলাকার বড় মসজিদের ইমাম আলেম মো. মুছা।

তিনি বলেন, দাদি-নাতির বিয়ে শরিয়তে জায়েজ নেই। তাই মঙ্গলবার স্থানীয় আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা মিলে তাদের নিয়ে বসেন। শরিয়তের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের সামনে সংসার বিচ্ছেদ করে দুজনই নিজেদের আলাদা বাড়িতে চলে যান।

মিরাজের বাবা মো. জসিম মাঝি বলেন, মঙ্গলবার আমরা বিয়ের বিষয় নিয়ে বসি। পরে তাদের বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উভয়ের সম্মতিতে এ বিচ্ছেদ হয়েছে।