ঢাকা ১০:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

এক কেজি শিমের দামে ছয় কেজি পেঁপে

শীতের আবহাওয়া আসন্ন। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। তবে এবার বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও রয়েছে যথেষ্ট চড়া।

কিন্তু সব কিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে সহজে বলা চলে ১ কেজি শিমের দামে ৬ কেজি পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টার ওপরে কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবজির বাজার চড়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকায় অনেক পরিবার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রেতারা আশা করছে আসন্ন শীতের সময় হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুরুল হক বলেন, এক পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজির দাম আগের মতো কিছুটা বাড়তি। এছাড়া সব পণ্যের দামই এখন বাড়তি। এ অবস্থায় আমাদের সংসার চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, পেঁপের দাম গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। তবে বাজারে যশোরের পেঁপে চলে আসায় দাম কিছুটা কমে ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। কারণ যশোরের পেঁপের আকার একটু ছোট থাকে এবং দূর থেকে আসে বলে পেঁপের গায়ে দাগ হয়ে যায়। সেকারণে দাম তুলনামূলক কম। তবে আশুলিয়ার পেঁপের আকারও বড় এবং ঢাকার কাছে বলে ভালোভাবে বাজারে আসে তাই দামও বেশি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ার পেঁপে।

এদিকে সবজির বাজার দর নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা লিমন মিয়া বলেন, শীতের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। যখন বড় বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার চলে আসবে তখন থেকে অন্যান্য সবজির দামও কমতে থাকবে। তাই শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

এক কেজি শিমের দামে ছয় কেজি পেঁপে

আপডেট সময় ০৩:৫৩:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

শীতের আবহাওয়া আসন্ন। এই সময় বাজারে থাকে নানা রকম সবজি, যা দামেও থাকে কম। তবে এবার বাজারে এখনো তেমন সবজির সমাহার দেখা যায়নি। দামও রয়েছে যথেষ্ট চড়া।

কিন্তু সব কিছুর মূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে পেঁপের দামে। গত সপ্তাহে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে বাজারে ১ কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এতে সহজে বলা চলে ১ কেজি শিমের দামে ৬ কেজি পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে।

শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর ও বাড্ডা কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।

খুচরা বাজারগুলোতে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁপে ২০ টাকা করে, শসা ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, আলু ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শিম ১২০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা ও কাঁকরোল ৬০ টাকা করে করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টার ওপরে কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সবজির বাজার চড়া দীর্ঘ দিন ধরে থাকায় অনেক পরিবার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। তবে ক্রেতারা আশা করছে আসন্ন শীতের সময় হয়তো দাম কিছুটা কমতে পারে।

শাহজাদপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা নুরুল হক বলেন, এক পেঁপে ছাড়া বাজারে সব সবজির দাম আগের মতো কিছুটা বাড়তি। এছাড়া সব পণ্যের দামই এখন বাড়তি। এ অবস্থায় আমাদের সংসার চালানো দিন দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাড্ডা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মাঈনুদ্দিন বলেন, পেঁপের দাম গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হতো। তবে বাজারে যশোরের পেঁপে চলে আসায় দাম কিছুটা কমে ২০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। কারণ যশোরের পেঁপের আকার একটু ছোট থাকে এবং দূর থেকে আসে বলে পেঁপের গায়ে দাগ হয়ে যায়। সেকারণে দাম তুলনামূলক কম। তবে আশুলিয়ার পেঁপের আকারও বড় এবং ঢাকার কাছে বলে ভালোভাবে বাজারে আসে তাই দামও বেশি। ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে আশুলিয়ার পেঁপে।

এদিকে সবজির বাজার দর নিয়ে শাহজাদপুর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা লিমন মিয়া বলেন, শীতের সবজি এখনো বাজারে আসেনি। যখন বড় বড় ফুলকপি ও বাঁধাকপি বাজার চলে আসবে তখন থেকে অন্যান্য সবজির দামও কমতে থাকবে। তাই শীতের সবজি না আসা পর্যন্ত সবজির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।