কখনো পুলিশ, কখনো বা ডিবি, আবার কখনো প্রশাসনিক এর উদ্বোধন কর্মকর্তা নাম দিয়ে ভুয়া পরিচয়ে পরিচিতি, ধরা পড়লো বহুরূপী প্রতারক আনোয়ার-জাহিদ।
কে এই আনোয়ার? আসলে কিছুই না আনোয়ার। চট্টগ্রাম আনোয়ারা উপজেলার তৈলার দ্বীপ গ্রামের হাফেজ আবদুল মাবুদের বাড়ীর মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন। তিনি অন্য দশ জনের মতো একজন সাধারণ জনগণ। কিন্তু বর্তমানে তিনি ভুয়া পরিচয়ে পরিচিতি। দীর্ঘ দিন যাবৎ তিনি নিজেকে জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছেন। এমনকি এই সংগঠনের পেড ও ফাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার এই কথাকথিত অভিযানের নামে ব্লেকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তার এই অনৈতিক ও বেআইনী অভিযানকে চাঁদাবাজিতে সফল করার লক্ষ্যে সহযোগীতা নেন তারই ওস্তাদ আবদুল হক এর ছোট ছেলে প্রতারক কমিটির সভাপতি জাহিদুল হক। জাহিদুল হক পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার ও চোরাই তেল ব্যবসায়ী। তিনি প্রতারক কমিটির সভাপতি হওয়ায়, এই পদের ক্ষমতাবলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। অথচ তার কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই। লিখতে পারে না নিজের নামও। বিভিন্ন দপ্তর থেকে আসা প্রেস রিলিজে নিজেদের নাম বসিয়ে নিজেদের বড় সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন এই দুই প্রতারক।
চট্টগ্রাম মোমিন রোড কদম মোবারক মার্কেটের ৫ম তলায় এই সংগঠনের নামে বড় বড় সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছেন গুরু-শিষ্য এই প্রতারক চক্র। অথচ এই সংগঠনের সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। এই সংগঠনের প্রকৃত কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান হলো সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা’র সম্পাদক এস এম মোরশেদ।
এস এম মোরশেদ বলেন, আনোয়ার-জাহিদ নামের কাউকেই আমি চিনি না। তাদের কেউ যদি জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন এর নাম বিক্রি করে অথবা আমাদের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে তাদের আইনের হাতে তুলে দিন।
নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আনোয়ারের এক সহকর্মী বলেন, আনোয়ার-জাহিদ একজন পেশাদার প্রতারক লিখতে পারে না এক কালাম সে ছিলেন সিএনজির ড্রাইভার। তারা এই সংগঠনের নামে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি ইস্যু করতো। তারপর দপ্তর কর্তৃক রিসিভ কপি নিয়ে যেত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে। অভিযানে লক্ষ টাকা জরিমানার কথা বলে সমঝোতা করতো মাসিক মাসোয়ারা। যে প্রতিষ্ঠান রাজি হতো তাদের সাথে করতেন বন্ধুত্ব, আর যারা মানতে নারাজ দিল তাদের হয়রানি করা হতো। এমনকি আমাকে এই সংগঠনের সদস্য করবে বলে ২০ হাজার টাকা বাগিয়ে নেন এই প্রতারক।