কক্সবাজারে ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) ছুরিকাহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এক ছিনতাইকারী ওই এসআইকে ছুরি মেরে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা তাঁকে পালানোর সুযোগ দেননি। পরে ওই ছিনতাইকারীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ শহরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও দুজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক এনজিও কর্মীর মালামাল লুটের ঘটনায় এই অভিযান চালানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মিসবাউল হক মুন্না (২২), ইমাম হোসেন (২৩) ও সুজা উদ্দিন ওরফে রুবেল পাটোয়ারী (২৬)। পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ওই এনজিও কর্মীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ল্যাপটপ, মুঠোফোনে, টাকাসহ মূল্যবান জিনিস ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে থানায় দুই থেকে পাঁচটি ছিনতাই, মাদক ও মারামারির মামলা রয়েছে।
এক এনজিও কর্মীর মালামাল লুটের ঘটনায় এই অভিযান চালানো হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ছুরিকাহত এসআই সোহেল রানাকে দ্রুত উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর পেটে মুন্না ছুরিকাঘাত করেন। শুরুতে রক্তক্ষরণ হলেও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এসআই সোহেল রানার শারীরিক অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ছিনতাইকারী মুন্নার নেতৃত্বে গতকাল রোববার সকালে শহরের বাজারঘাটা এলাকায় সালামত উল্লাহ সড়কে মিশফাক উদ্দিন আহমদ নামে এক এনজিও কর্মীর ল্যাপটপ, মুঠোফোন, টাকাসহ মূল্যবান জিনিস লুটের ঘটনা ঘটে। মিশফাক উদ্দিনের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি গ্রামে। দুই বছর ধরে তিনি সালামত উল্লাহ সড়কের একটি ভাড়াবাড়িতে সপরিবার থাকছেন। সকালে অফিসে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। এ ঘটনায় রাতে থানায় অজ্ঞাতনামা তিন ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মিশফাক। পুলিশ আসামিদের ধরতে গেলে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।