আমাদের মার্তৃভূমি ডেস্ক : 
ওয়ানডে বিশ্বকাপের বছরে দারুণ খেল দেখাচ্ছে পাকিস্তান। আগের ম্যাচেই ৫০০তম জয়ের মাইলফলকে পৌঁছায় বাবর আজমরা। এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়ল স্বাগতিক দলটি।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৩৬ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে বড় টার্গেটকে মামুলি বানিয়ে ফেলেন ১৪৪ বলে ১৮০ রানের ইনিংস খেলা ফখর জামান। পাকিস্তানও ম্যাচটা জিতেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে, ১০ বল হাতে রেখেই। বৃথা গেছে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ড্যারিল মিচেলের ১২৯ রানের ইনিংস।
রান তাড়ায় পাকিস্তানকে ভালো শুরু এনে দেন ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান জুটি। দশম ওভারে ইমামকে ফিরিয়ে ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ম্যাট হেনরি। দ্বিতীয় উইকেটে ১২২ বলে ১৩৫ রানের জুটিতে স্বাগতিকদের টানেন ফখর ও বাবর। পাকিস্তান অধিনায়ক ধীরলয়ে এগোলেও বোলারদের চাপে রাখেন ফখর। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে খরচ করেন মোটে ৮৩ বল।
অন্যদিকে, ব্যক্তিগত ফিফটির পর ইমামের মতো বেশিদূর যেতে পারেননি বাবর। ইশ সোধির দারুর এক ডেলিভারিতে বিদায় নেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ৬৬ বলে ৬৫ রান করেন বাবর। এরপর আব্দুল্লাহ শফিক দ্রুত বিদায় নিলেও আর কোনো উইকেটের পতন হতে দেননি ফখর ও রিজওয়ান জুটি।
ব্যক্তিগত ৫০ ও ৫৫ রানে দুবার ‘জীবন’ পেলেও ১৪৪ বলে ১৮০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেন ফখর জামান। ১৭টি চার ও ৬ ছক্কায় শুধু বাউন্ডারি থেকেই ১০৪ রান তুলেছেন পাক এই ব্যাটার। ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। ফখরের দিনে পাশ্বনায়ক হয়েই থাকলেন রিজওয়ান-বাবররা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারে ভাঙে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি। হারিস রউফের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরে যান উইল ইয়াং। তবে এরপর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৫৯ বলে মিচেল ও টম লাথাম উপহার দেন ১৮৩ রানের জুটি। এদিন ১০২ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন মিচেল। অন্যদিকে, সম্ভাবনা জাগিয়েও ৯৮ রানে কাটা পড়েন লাথাম। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৬ রান করে সফরকারীরা।
আগামী বুধবার করাচিতে হবে তৃতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩৩৬/৫ (ইয়াং ১৯, বাওয়েস ৫১, মিচেল ১২৯, লাথাম ৯৮, নিশাম ১৭ , চ্যাপম্যান ১, নিকোলাস ৬, নাসিম ১০-০-৪৯-১, ইহসানউল্লাহ ৮-০-৬০-০, রউফ ১০-০-৭৮-৪, নেওয়াজ ৭-০-৪০-০, উসামা ১০-০-৬৬-০, সালমান ৫-০-৩৪-০)
পাকিস্তান: ৪৮.২ ওভারে ৩৩৭/৩ (ফখর ১৮০*, ইমাম ২৪, বাবর ৬৫, শফিক ৭, রিজওয়ান ৫৪*; হেনরি ৯.২-১-৫৯-১, শিপলি ১০-০-৫৮-১, নিশাম ৯-০-৬৪-০, সোধি ১০-০-৭৯-১, রবীন্দ্র ১০-০-৭৫-০)
ফল: পাকিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফখর জামান
