ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

বগুড়ায় শেরপুর উপজেলায় বউ মেলায় নারীদের ঢল

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রতিবছর বারুণী মেলা শেষে ‘বউ মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ এলাকার করতোয়া নদীর পশ্চিম কোলঘেঁষে বউ মেলা বসে। মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই নারী। কোনো পুরুষ আসতে পারেন না। তাই বিভিন্ন বয়সী নারীরা প্রাণভরে মেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিনেছেন প্রসাধনীসহ নানা পণ্য সামগ্রী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। একপাশে চলছে মোটরসাইকেল ও নাগরদোলা খেলা। নারীরা দলবেঁধে আবার এলোমেলোভাবে দোকানে দোকানে ঘুরছেন। জিনিসপত্র পছন্দ করছেন। দরদাম করে পছন্দের জিনিসটি কিনছেন। আবার অনেকেই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নানা ধরনের ভাজাপোড়ার দোকানে ভিড় করছেন। সন্তানদের আবদার পূরণে সেগুলো দোকানে বসে বা পাশে দাঁড়িয়ে অনেককে খেতেও দেখা যায়।

নিমাই চন্দ্রের স্ত্রী কল্পনা ঘোষ, তার বোন হিরা, ছেলে আকাশ ও মেয়ে নুপুরকে নিয়ে বউ মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, মেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, কসমেটিকস, হাত পাখা, কাঠের সামগ্রী, মিষ্টান্ন সামগ্রী কিনেছি। ছেলে-মেয়েকে বাইক খেলা দেখিয়েছি। নাগরদোলায় চড়ে ওরা ব্যাপক আনন্দ করেছে।

মেলায় আসা সালমা, সুমাইয়া আক্তার, মুন্নী আক্তারসহ একাধিক নারী জানান, বাড়ির কাছে মেলা হওয়ায় সকালে একদফা আসেন তারা। বিকেলে আরেকদফা মেলায় আসেন। অনেক কিছু খেয়েছেন। মেলা থেকে কিছু সাংসারিক জিনিসপত্র কেনা হয়েছে। পাশাপাশি সন্তানদের জন্য নানা ধরনের খেলনা সামগ্রী কিনেছেন। বাদ যায়নি মিষ্টান্ন সামগ্রী কেনা। বউ মেলাটি তাদের ভীষণ আনন্দ দিয়েছে।

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, প্রত্যেক বছর চৈত্রের বারুণী তিথির দ্বিতীয়দিনে এখানে বউ মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবার তিথি অনুযায়ী মেলা হয়নি। রোজার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তাই ঈদের পরপরই বৈশাখ মাসে এসে ঐতিহ্যবাহী মেলাটি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বউ মেলায় এসে বিভিন্ন বয়সী নারীরা নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনেছেন। এছাড়া এবার মেলা জাঁকজমকভাবে হওয়ায় সময়সীমা আরও দু-একদিন বাড়তে পারে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

বগুড়ায় শেরপুর উপজেলায় বউ মেলায় নারীদের ঢল

আপডেট সময় ১২:১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় প্রতিবছর বারুণী মেলা শেষে ‘বউ মেলা’ অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের গাড়ীদহ এলাকার করতোয়া নদীর পশ্চিম কোলঘেঁষে বউ মেলা বসে। মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই নারী। কোনো পুরুষ আসতে পারেন না। তাই বিভিন্ন বয়সী নারীরা প্রাণভরে মেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। কিনেছেন প্রসাধনীসহ নানা পণ্য সামগ্রী। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ মেলা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল মাঠজুড়ে মেলা বসে। মেলায় স্থান পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের দোকান। একপাশে চলছে মোটরসাইকেল ও নাগরদোলা খেলা। নারীরা দলবেঁধে আবার এলোমেলোভাবে দোকানে দোকানে ঘুরছেন। জিনিসপত্র পছন্দ করছেন। দরদাম করে পছন্দের জিনিসটি কিনছেন। আবার অনেকেই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে নানা ধরনের ভাজাপোড়ার দোকানে ভিড় করছেন। সন্তানদের আবদার পূরণে সেগুলো দোকানে বসে বা পাশে দাঁড়িয়ে অনেককে খেতেও দেখা যায়।

নিমাই চন্দ্রের স্ত্রী কল্পনা ঘোষ, তার বোন হিরা, ছেলে আকাশ ও মেয়ে নুপুরকে নিয়ে বউ মেলায় এসেছেন। তিনি বলেন, মেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খেলনা, কসমেটিকস, হাত পাখা, কাঠের সামগ্রী, মিষ্টান্ন সামগ্রী কিনেছি। ছেলে-মেয়েকে বাইক খেলা দেখিয়েছি। নাগরদোলায় চড়ে ওরা ব্যাপক আনন্দ করেছে।

মেলায় আসা সালমা, সুমাইয়া আক্তার, মুন্নী আক্তারসহ একাধিক নারী জানান, বাড়ির কাছে মেলা হওয়ায় সকালে একদফা আসেন তারা। বিকেলে আরেকদফা মেলায় আসেন। অনেক কিছু খেয়েছেন। মেলা থেকে কিছু সাংসারিক জিনিসপত্র কেনা হয়েছে। পাশাপাশি সন্তানদের জন্য নানা ধরনের খেলনা সামগ্রী কিনেছেন। বাদ যায়নি মিষ্টান্ন সামগ্রী কেনা। বউ মেলাটি তাদের ভীষণ আনন্দ দিয়েছে।

মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান বলেন, প্রত্যেক বছর চৈত্রের বারুণী তিথির দ্বিতীয়দিনে এখানে বউ মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবার তিথি অনুযায়ী মেলা হয়নি। রোজার কারণে সেটি সম্ভব হয়নি। তাই ঈদের পরপরই বৈশাখ মাসে এসে ঐতিহ্যবাহী মেলাটি হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বউ মেলায় এসে বিভিন্ন বয়সী নারীরা নানা ধরনের জিনিসপত্র কিনেছেন। এছাড়া এবার মেলা জাঁকজমকভাবে হওয়ায় সময়সীমা আরও দু-একদিন বাড়তে পারে।