ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় রামভালক গ্রামে মা-মেয়েকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ

পটুয়াখালী দশমিনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় মা ও মেয়েকে পিটিয়ে যখম করার ঘটনা ঘটেছে। রোজ সোমবার (১০এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে, উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামভালক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় আহত সুফিয়া বেগম (৮০),আলেয়া (৬০), সালেহা (৫৫),মো,নিজাম (৭০),ও আবুল কালাম (৬৫), স্থায়ী সুএে জানা যায়, রামভালক গ্রামের নিজাম খাঁন ও প্রতিবেশী মোঃ সেলিম খাঁনদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল । এ নিয়ে পটুয়াখালী সহকারী জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রয়েছে। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে সেলিম খাঁন, বাবুল, জসিম, পাবেল, ইসমাইলসহ তাদের সহযোগী ১০-১২ জন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর তুলতে যায়।

এসময় সুফিয়া বেগম বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত যখম করেন, মাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মেয়ে আলেয়া ও সালেহা, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আহত সুফিয়া বেগম বলেন, জমি নিয়ে দেওয়ানী মামলা চলছে এবং নিষেধাজ্ঞা ও জারি আছে, তবে অবৈধ ভাবে সেলিম খাঁন, বাবুল, জসিম, পাবেল, ইসমাইল ঘর তুলতে যায়। আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার ছেলে ও মেয়েরা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের ও মারধর করে। এর আগে আমার ছেলে ও মেয়েদের মারধর করে আহত করার ঘটনায় দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা চলছে।

আহত নিজাম খাঁন বলেন, সেলিম খাঁনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা চলছে। আজ দুপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমিতে সেলিম খাঁন ও তার ছেলেসহ অপরিচিত ১০- ১২ জন ঘর তুলে। আমার মা সুফিয়া বেগম বাঁধা দিলে সেলিম খাঁন সহ ১০-১২ জন মারধর করে। মায়ের চিৎকার শুনিয়া আমি আমার ভাই ও দুই বোন গেলে আমাদের ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ব্যাপারে সেলিম খাঁন বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে, আমরা ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেয়, এসময় সামান্য মারামারি হইছে, তেমন কিছু হয়নী বলে জানান।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান,থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় রামভালক গ্রামে মা-মেয়েকে পিটিয়ে আহতের অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৪৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ এপ্রিল ২০২৩

পটুয়াখালী দশমিনায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় মা ও মেয়েকে পিটিয়ে যখম করার ঘটনা ঘটেছে। রোজ সোমবার (১০এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে, উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের রামভালক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এসময় আহত সুফিয়া বেগম (৮০),আলেয়া (৬০), সালেহা (৫৫),মো,নিজাম (৭০),ও আবুল কালাম (৬৫), স্থায়ী সুএে জানা যায়, রামভালক গ্রামের নিজাম খাঁন ও প্রতিবেশী মোঃ সেলিম খাঁনদের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল । এ নিয়ে পটুয়াখালী সহকারী জেলা জজ আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও রয়েছে। এর মধ্যে সোমবার দুপুরে নিষেধাজ্ঞাকৃত জমিতে সেলিম খাঁন, বাবুল, জসিম, পাবেল, ইসমাইলসহ তাদের সহযোগী ১০-১২ জন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর তুলতে যায়।

এসময় সুফিয়া বেগম বাঁধা দিলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত যখম করেন, মাকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হন মেয়ে আলেয়া ও সালেহা, পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

আহত সুফিয়া বেগম বলেন, জমি নিয়ে দেওয়ানী মামলা চলছে এবং নিষেধাজ্ঞা ও জারি আছে, তবে অবৈধ ভাবে সেলিম খাঁন, বাবুল, জসিম, পাবেল, ইসমাইল ঘর তুলতে যায়। আমি বাঁধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার ছেলে ও মেয়েরা আমাকে রক্ষা করতে গেলে তাদের ও মারধর করে। এর আগে আমার ছেলে ও মেয়েদের মারধর করে আহত করার ঘটনায় দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা চলছে।

আহত নিজাম খাঁন বলেন, সেলিম খাঁনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন জমিজমা নিয়ে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা চলছে। আজ দুপুরে আদালতের নিষেধাজ্ঞা জমিতে সেলিম খাঁন ও তার ছেলেসহ অপরিচিত ১০- ১২ জন ঘর তুলে। আমার মা সুফিয়া বেগম বাঁধা দিলে সেলিম খাঁন সহ ১০-১২ জন মারধর করে। মায়ের চিৎকার শুনিয়া আমি আমার ভাই ও দুই বোন গেলে আমাদের ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এ ব্যাপারে সেলিম খাঁন বলেন, জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে, আমরা ঘর তুলতে গেলে বাঁধা দেয়, এসময় সামান্য মারামারি হইছে, তেমন কিছু হয়নী বলে জানান।

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান,থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তবে এবিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।