ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ শেখ হাসিনা ও রেহানাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় হত্যা মামলা ভারতে মহানবী (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে ভোলায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ আল-আরাফাহ ঘিরে নতুন পাঁয়তারা রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র তিতু গ্রেফতার আঙুল ফুলে কলাগাছ গোয়াইনঘাটের বুঙ্গড়ী আজিজুল-মাসুক! দুদক উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিকের অবৈধ সম্পদের পাহাড়  আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে ঘনিষ্ঠ দু’জনকে অতিরিক্ত এমডি পদে নিয়োগের আয়োজন ১১৭০ টাকার নামজারির খরচ, ভূমি কর্মকর্তা নেন ৮-১৫ হাজার! পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার হাসানুজ্জামানের দুর্নীতির স্বর্গ রাজ্যে যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ।

রাজশাহীতে ছোট ভাইয়ের দোকানে বড় ভাইয়ের লুটপাট

রাজশাহী মহানগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ছোট ভাই মামুনুর রশিদের কনফেকশনারীর দোকান দখলে নিতে বড় ভাই আওয়াল হোসেন এর বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় বড়ভাই ক্ষমতাশালী হওয়াতে ছোট ভাইকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় প্রায় ১২ঘন্টা অবৈধভাবে আটক করে রাখার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী ছোট ভাই মামুনুর রশিদ।

জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের দুই ছেলে ছোট ভাই মামুনুর রশিদ ও বড়ভাই আওয়াল হোসেন এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস মোড়ের একটি দোকানকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদ চলে আসছিল। দোকানটি মামুনুর রশিদ দির্ঘ ২৫বছর পূর্বে ১৯৯৮সালে সেখপাড়া এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে মনির শেখ এর কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কনফেকশনারীর দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন। হটাৎ গত বছরের ১৩ডিসেম্বর মামুনুর রশিদের বড়ভাই আওয়াল হোসেন দোকান মালিক মনির শেখ এর নামে মামলা না করে পরিকল্পিতভাবে মামুনুর রশিদের ভাড়া নেয়া দোকান গ্রাস করতে তারনামে মিথ্য মামলা করেন। মামলা করে কোন ভাবে দোকানটি দখলে নিতে না পেরে গত ৯এপ্রিল আওয়াল হোসেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে মামুনুর রশিদের ভাড়া নেয়া কনফেকশনারীর দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে মামুনুর রশিদকে দোকান থেকে বেরকরে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় আওয়াল হোসেন। কনফেকশনারীর দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি তিনি । তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ দিয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই মামুনুর রশিদকে অবৈধ আটক করে রাখে। পরে দির্ঘ ১২ঘন্টা পর তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তেভোগী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রভাবশালী বড় ভাই আওয়াল হোসেন দ্বারা প্রতিনিয়ত তাকে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়েছে। এমনকি তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে তাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা মেরে দিয়েছে। লুট করেছে 2টি ফ্রিজ,দোকানের আসবাবপত্র ও নগদ ২৫,০০০/পচিশ হাজার টাকা। এতো ক্ষতি করেও আওয়াল হোসেন আমাকে পুলিশ দিয়ে কোন অভিযোগ ও মামলা ছাড়া অবৈধ্যভাবে প্রায় ১২ঘন্টা থানায় আটক করে রেখেছিলেন। আমি এমন হয়রানীর প্রতিবাদ করছি । সেই সাথে আমার বড়ভাই আওয়াল হোসেন এর বিচার দাবি করছি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে হাসপাতালের আড়ালে চলছে অনৈতিক কাজ

রাজশাহীতে ছোট ভাইয়ের দোকানে বড় ভাইয়ের লুটপাট

আপডেট সময় ০১:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

রাজশাহী মহানগরীর ফায়ার সার্ভিস মোড়ে ছোট ভাই মামুনুর রশিদের কনফেকশনারীর দোকান দখলে নিতে বড় ভাই আওয়াল হোসেন এর বিরুদ্ধে দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় বড়ভাই ক্ষমতাশালী হওয়াতে ছোট ভাইকে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় প্রায় ১২ঘন্টা অবৈধভাবে আটক করে রাখার অভিযোগও করেন ভুক্তভোগী ছোট ভাই মামুনুর রশিদ।

জানা যায়, রাজশাহী মহানগরীর সিপাইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রশিদের দুই ছেলে ছোট ভাই মামুনুর রশিদ ও বড়ভাই আওয়াল হোসেন এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিস মোড়ের একটি দোকানকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ বিবাদ চলে আসছিল। দোকানটি মামুনুর রশিদ দির্ঘ ২৫বছর পূর্বে ১৯৯৮সালে সেখপাড়া এলাকার মৃত ময়েজ উদ্দিন এর ছেলে মনির শেখ এর কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে কনফেকশনারীর দোকান পরিচালনা করে আসছিলেন। হটাৎ গত বছরের ১৩ডিসেম্বর মামুনুর রশিদের বড়ভাই আওয়াল হোসেন দোকান মালিক মনির শেখ এর নামে মামলা না করে পরিকল্পিতভাবে মামুনুর রশিদের ভাড়া নেয়া দোকান গ্রাস করতে তারনামে মিথ্য মামলা করেন। মামলা করে কোন ভাবে দোকানটি দখলে নিতে না পেরে গত ৯এপ্রিল আওয়াল হোসেন সন্ত্রাসীদের নিয়ে মামুনুর রশিদের ভাড়া নেয়া কনফেকশনারীর দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে মামুনুর রশিদকে দোকান থেকে বেরকরে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় আওয়াল হোসেন। কনফেকশনারীর দোকানটি ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ক্ষ্যান্ত হননি তিনি । তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ দিয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই মামুনুর রশিদকে অবৈধ আটক করে রাখে। পরে দির্ঘ ১২ঘন্টা পর তাকে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তেভোগী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রভাবশালী বড় ভাই আওয়াল হোসেন দ্বারা প্রতিনিয়ত তাকে হয়রানীর স্বীকার হতে হয়েছে। এমনকি তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে তাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানে তালা মেরে দিয়েছে। লুট করেছে 2টি ফ্রিজ,দোকানের আসবাবপত্র ও নগদ ২৫,০০০/পচিশ হাজার টাকা। এতো ক্ষতি করেও আওয়াল হোসেন আমাকে পুলিশ দিয়ে কোন অভিযোগ ও মামলা ছাড়া অবৈধ্যভাবে প্রায় ১২ঘন্টা থানায় আটক করে রেখেছিলেন। আমি এমন হয়রানীর প্রতিবাদ করছি । সেই সাথে আমার বড়ভাই আওয়াল হোসেন এর বিচার দাবি করছি বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।