হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল ২০২৩) মাধবপুরের ইউএনও মঞ্জুরুল আহসান জিসানের সভাপতিত্বে পতাকা উত্তোলন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে এ দিবসটি পালিত হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিন্টু চৌধুরী,সার্কেল এএসপি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী,এসিল্যান্ড রাহাত বিন কুতুব,ওসি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস ছামাদ,বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ হোসাইন মিয়া,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মধু ও মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আজিজুর রহমান জয় সহ আরো অনেকে।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ একটি জাদুঘর ও স্মৃতি রক্ষার্থে ভবন গড়ে তোলার দাবী জানানো হয়। উল্লেখ্য,১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধীনায়ক জাতির পিতার রেসকোর্স ময়দানে ৭ ই মার্চের কালজয়ী ভাষনের পর মুক্তিপাগল বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এর ধারাবাহিকতায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল এই দিনে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ব্যবস্থাপকের বাংলোতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের কলাকৌশল ঠিক করার জন্য। ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ওই বৈঠকে দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহণ করা হয়। ভাগ করা হয় ৪ সেক্টর। ৪ সেনা কর্মকর্তাকে এসব সেক্টরের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তী ৪ সেক্টরের কাজের সুবিধার্থে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। ওই বৈঠক শেষে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি আতাউল গনি ওসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাকা গুলি করে আনুষ্ঠানিক ভাবে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।