ঢাকা ০৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আর ফোন দিয়ে কী করবা, আমার তো সব শেষ

স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে রাজধানীর বঙ্গবাজার। ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে লাগা এ আগুনে পুড়ছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। ঈদ সামনে রেখে অনেকে দোকানে নতুন কাপড় তুলেছেন। যা এখন আগুনে পুড়ছে। তাদের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছেন আত্মীয়স্বজনরা। 

ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রীকে ফোনে কাপড়ের ব্যবসায়ী মো. রমজান বলছিলেন, আর ফোন দিয়ে কী করবা, কেন ফোন দিচ্ছ, আমাদের সব শেষ। এই কথা বলে হাউমাউ করে কান্না করছেন আর আরেক ব্যবসায়ীকে জড়িয়ে ধরছেন।

বঙ্গবাজারে লাগা আগুনে মো. রমজানের দোকান পুড়েছে। রমজানের দাবি তার দোকানে ১৫ লাখ টাকার ওপরে মালামাল ছিলো, সঙ্গে নগদ টাকাও ছিলো।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ২-৩ দিন আগেও মালামাল তুলেছিলাম দোকানে। একটি কাপড়ও দোকান থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারি নাই। এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো। ভাবছিলাম রোজার ঈদের বেচাকেনার পর কিছুটা দাঁড়াতে পারবো। কিন্তু এখন তো সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম।

মোহাম্মদ সাইমন নামে আরেকজন ব্যবসায়ী দোকানে ১৪ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ভাই আমাদের মার্কেটে সবসময় প্রচুর মালামাল থাকে। সকাল ছয়টার পরে শুনতে পেরেছি মার্কেটে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে দ্রুত দৌড়ে আসি ঘটনাস্থলে। কিন্তু ভাই আগুনের তাপের কারণে ভেতরে যেতে পারি নাই। আমার দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের ব্যবসা যেমন শেষ হইছে আর তেমনি সারা জীবনের জন্য এই ক্ষতিপুষিয়ে ওঠা আমার মতো মানুষের পক্ষে কঠিন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আর ফোন দিয়ে কী করবা, আমার তো সব শেষ

আপডেট সময় ১১:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে পুড়ছে রাজধানীর বঙ্গবাজার। ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে লাগা এ আগুনে পুড়ছে ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন। ঈদ সামনে রেখে অনেকে দোকানে নতুন কাপড় তুলেছেন। যা এখন আগুনে পুড়ছে। তাদের সান্ত্বনা দিতে চেষ্টা করছেন আত্মীয়স্বজনরা। 

ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রীকে ফোনে কাপড়ের ব্যবসায়ী মো. রমজান বলছিলেন, আর ফোন দিয়ে কী করবা, কেন ফোন দিচ্ছ, আমাদের সব শেষ। এই কথা বলে হাউমাউ করে কান্না করছেন আর আরেক ব্যবসায়ীকে জড়িয়ে ধরছেন।

বঙ্গবাজারে লাগা আগুনে মো. রমজানের দোকান পুড়েছে। রমজানের দাবি তার দোকানে ১৫ লাখ টাকার ওপরে মালামাল ছিলো, সঙ্গে নগদ টাকাও ছিলো।

তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ২-৩ দিন আগেও মালামাল তুলেছিলাম দোকানে। একটি কাপড়ও দোকান থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারি নাই। এই ক্ষতি কীভাবে কাটিয়ে উঠবো। ভাবছিলাম রোজার ঈদের বেচাকেনার পর কিছুটা দাঁড়াতে পারবো। কিন্তু এখন তো সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম।

মোহাম্মদ সাইমন নামে আরেকজন ব্যবসায়ী দোকানে ১৪ লাখ টাকার মালামাল ছিল বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ভাই আমাদের মার্কেটে সবসময় প্রচুর মালামাল থাকে। সকাল ছয়টার পরে শুনতে পেরেছি মার্কেটে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে দ্রুত দৌড়ে আসি ঘটনাস্থলে। কিন্তু ভাই আগুনের তাপের কারণে ভেতরে যেতে পারি নাই। আমার দোকানের সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঈদের ব্যবসা যেমন শেষ হইছে আর তেমনি সারা জীবনের জন্য এই ক্ষতিপুষিয়ে ওঠা আমার মতো মানুষের পক্ষে কঠিন।