ঢাকা ০৭:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি শরীয়তপুরে ছেলের গাছের গোড়ার আঘাতে বাবা নিহত সেই ছেলে গ্রেফতার। ঢাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি কে এই সাদিক শিগগিরই ঢাবি শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা: শিবির সভাপতি চট্টগ্রাম নগর যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত, ২ নেতা বহিষ্কার সরকার পতনের পর এই প্রথম মুখ খুললেন সাদ্দাম-ইনান কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গরু ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন এনজিও মাঠকর্মীরা রংপুরের মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ভোলায় শহীদ পরিবারদের কোটি টাকার সহায়তা দিল- জামায়াতে ইসলাম জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশন যোগ দিতে নিউইয়র্কে দৈনিক তরুণ কণ্ঠ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শান্ত

রায় কার্যকর চান সাংবাদিক আফতাবের মেয়ে

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ৫ আসামির ফাঁসি বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মেয়ে আফরোজা আহমেদ বন্যা। একইসঙ্গে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করেছেন তিনি। বুধবার (১২ অক্টোবর) হাইকোর্টে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বন্যা এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ রায়টা আমরা পেলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন এজন্য আমরা সন্তুষ্ট। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেটি যেন বহাল থাকে এবং কার্যকর হয় আমি সে কামনা করছি। এ মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ৭ বছরের দণ্ডিত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপর আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার আসামি রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে আফতাব আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে তারা হত্যা করেন।

ডাকাতিকালে আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন। ৬৯ বছর বয়সী সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটো সাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সকলে একসাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব: ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি

রায় কার্যকর চান সাংবাদিক আফতাবের মেয়ে

আপডেট সময় ০৩:১৬:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ অক্টোবর ২০২২

একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় ৫ আসামির ফাঁসি বহাল থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার মেয়ে আফরোজা আহমেদ বন্যা। একইসঙ্গে রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি করেছেন তিনি। বুধবার (১২ অক্টোবর) হাইকোর্টে রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বন্যা এ দাবি জানান।

তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ রায়টা আমরা পেলাম। আদালত যে রায় দিয়েছেন এজন্য আমরা সন্তুষ্ট। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছে সেটি যেন বহাল থাকে এবং কার্যকর হয় আমি সে কামনা করছি। এ মামলায় বিচারিক আদালতে দেওয়া ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ৭ বছরের দণ্ডিত এক আসামির দণ্ড বহাল রেখেছেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামি হলেন- বিল্লাল হোসেন কিসলু, হাবিব হাওলাদার, রাজু মুন্সি, রাসেল এবং গাড়িচালক হুমায়ুন কবির মোল্লা। অপর আসামি সবুজ খানকে সাত বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার আসামি রাজু মুন্সি ও রাসেল পলাতক রয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারানুম রাবেয়া মিতি শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তামান্না ফেরদৌস ও ফারজানা শম্পা। আসামিদের পক্ষে আইনজীবী এসএম শাহজাহান, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, পলাতক রাসেল ও রাজুর পক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব আহমেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার। পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর রামপুরায় নিজ বাসা থেকে আফতাব আহমেদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে হুমায়ুন কবির, হাবিব হাওলাদার ও বিল্লাল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আফতাব আহমেদের বাসায় ডাকাতি করার সময় তাকে গামছা দিয়ে বেঁধে শ্বাসরোধে তারা হত্যা করেন।

ডাকাতিকালে আসামি বিল্লাল হোসেন কিসলু বাসার ড্রয়ার ভেঙে ৭২ হাজার টাকা লুট করেন। পরে তারা বৌবাজার নামক একটি জায়গায় এ টাকা ভাগাভাগি করে নেন। ৬৯ বছর বয়সী সাংবাদিক আফতাব আহমেদ দৈনিক ইত্তেফাকের প্রবীণ ফটো সাংবাদিক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও পরবর্তী সময়ে অনেক দুর্লভ ছবি তোলেন। আলোকচিত্র সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।