নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রোববার দুপুরে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান নামের এক চিকিৎসকের হাতে তিনজন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছেন।
লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা হলেন, বাংলাদেশ টুডের লালপুর প্রতিনিধি সজিবুল হৃদয়, দৈনিক মানবকণ্ঠের লালপুর প্রতিনিধি নাহিদ হোসেন, সাপ্তাহিক পদ্মাপ্রবাহের ফটো সাংবাদিক বাবর আলী। লাঞ্ছিত সাংবাদিকেরা বলেন, উপজেলার কসাইপাড়া গ্রামে সাইফুল ইসলাম ও দুলাল আলীর জমিজমা নিয়ে মারামারির ঘটনায় কয়েকজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যান। তাঁরা সেখানে গিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভেতরে বিবদমান দুই পক্ষকে মারামারি করতে দেখেন। এ সময় সংবাদকর্মীরা মারামারির দৃশ্য ভিডিও ধারণ করতে শুরু করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেন। তিনি একটা কক্ষে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে দরজা আটকিয়ে অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ করার কৈফিয়ত জানতে চান। তিনি সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র ও মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি নেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক সজিবুল হৃদয় বলেন, ‘একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে দুই পক্ষকে মারামারি করতে দেখে প্রমাণ সংগ্রহ ও সংরক্ষণের চেষ্টা করেছি। এতে তো আইনে বাধা নেয়। আমরা তো রোগীর চিকিৎসায় ব্যাঘাত ঘটায়নি। বরং ওই চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাঁর শাস্তি দাবি করছি।’ এ ব্যাপারে ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এ কে এম শাহাবুদ্দিনকেও একাধিকবার মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে নাটোরের সিভিল সার্জন রোজী আরা বলেন, হাসপাতালে মারামারির ঘটনা ঘটলে বিষয়টি পুলিশ দেখবে। এ সময় সরকারি হাসপাতালে বিনা অনুমতিতে ভিডিও ধারণ করা অন্যায়। এরপরও বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।