দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ কোল ফেসের (কয়লা উত্তোলন মুখ) মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। খনির চলমান উৎপাদিত ফেইস এর মজুদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকে খনির উৎপাদন এ কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড গত ২৬ এপ্রিল খনির অভ্যন্তরের ১১১৩ নং ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে ২৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ১১১৩ ফেস থেকে ৩ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নতুন করে ১৪১২ নং ফেইস নির্ধারন করা হয়েছে। ফেইস হতে পরীক্ষামমূলক কয়লা উত্তোলনের কাজ চলমান রয়েছে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে পুরোদমে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে আশাবাদী খনি কর্তৃপক্ষ।
বড়পুকুরিয়া কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বর্তমানে ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৯৭.৮৬ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে। আগামী দুই মাসের মধ্যে খনির কয়লা উত্তোলন পুরোদমে শুরু করা না হলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, মজুদ শেষ হওয়ায় সন্ধ্যা থেকে ওই ফেইস এর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক ঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফের উৎপাদন স্বাভাবিক হবে। তবে, এসময়ের মধ্যে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনার জন্য যথেষ্ট কয়লা মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।