ঢাকা ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা পাড়ে ‘ইশো বিচ ক্লাব’

দেশের প্রথম পপ-আপ রেস্টুরেন্ট ‘ইশো বিচ ক্লাব’ চালু করলো আধুনিক আসবাব ও জীবনধারা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ইশো। খোলা আকাশের নিচে পদ্মা নদীর তীরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে স্থাপন করা হয়েছে এই রেস্টুরেন্ট। ঢাকার অদূরে মাওয়ায় কাছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার বেজগাঁও গ্রামের মৃধা বাড়ি পাশে রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে এই পপ-আপ রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন ইশোর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন।

রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায়, একেবারেই খরস্রোতা পদ্মার তীরে স্থাপন করা হয়েছে রেস্টুরেন্টটি। বাতাসে কলাপাতার আওয়াজ আপনাকে স্বাগতম জানাবে। রেস্টুরেন্টের সামনে রয়েছে খোলা জায়গা, যেখানে গেট টু গেদার, জন্মদিন বা ছোট পার্টির আয়োজন করা যাবে। আর নদীর পড়ে রয়েছে একটি দোলনাও।

সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি ফ্লোরের উপর তৈরি ইশো বিচ ক্লাবের মূল রেস্টুরেন্টের সামনের অংশ চারিদিক একেবারেই খোলা। মাথার ওপরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে বাঁশের চাটাই। রেস্টুরেন্টের এই অংশে বসলে পদ্মায় চলা নৌকার আওয়াজ আপনার মন জয় করে নেবে। আর ঝিরিঝিরি বাতাস তো আছেই। এছাড়া রেস্টুরেন্টের আরেকটি পার্ট আছে কাঁচে ঘেরা।

dhakapost

পদ্মার পাড়ে সাদা রঙের বালির উপরে নির্মিত ইশো বিচ ক্লাব পরিবার, প্রয়োজন, খাদ্য রসিক এবং ভ্রমণপিপাসুদের পরিদর্শনের জন্য আদর্শ একটি স্থান হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও খোলা আকাশের নিচে সুস্বাদু খাদ্য উপভোগ কিংবা পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর উপযুক্ত এই ইশো বিচ ক্লাব। প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থাপিত এই রেস্টুরেন্টে মুখরোচক খাবারের সাথে অতিথিরা ইশোর চিন্তাশীল ডিজাইন, পণ্য এবং অভিনব পরিবেশের সাথে পরিচিত হবে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাদের সাথে দেশীয় ঘরানার মিশ্রণে তৈরি বিচ ক্লাবের মেন্যুতে পাওয়া যাবে হ্যান্ডক্রাফটেড বার্গার, অ্যাপিটাইজার, গ্রিল, এসোর্টেড প্ল্যাটার্স এবং রকমারি মকটেইলস। খাবার পরিবেশনেও থাকছে রুচিশীলতার ছোঁয়া, যাতে ইশো’র পণ্যের মত এখানেও নান্দনিকতার ছাপ থাকে স্পষ্ট।

উত্তাল পদ্মার ঠিক পাশেই অবস্থিত ইশো বিচ ক্লাবে আরও থাকছে নৌকাভ্রমণ, রাতে খোলা আকাশের নিচে বসে বিভিন্ন ব্যান্ড/আর্টিস্টদের লাইভ মিউজিকাল পারফরম্যান্স, বারবিকিউ ও লাইভ গ্রিল উপভোগের অসাধারণ কিছু স্মৃতি তৈরির সুযোগ।

ইশো বিচ ক্লাব সম্পর্কে রায়ানা হোসেন বলেন, নাগরিক কোলাহল পেছনে ফেলে একটুখানি নিঃশ্বাস নিতে পারা, আনন্দ উদযাপন ও সুন্দর কিছু স্মৃতি তৈরির জন্য ইশো বিচ ক্লাবটি ডিজাইন করা হয়েছে। মানসম্পন্ন খাবার ও সেবা প্রদানের মধ্যে দিয়ে চমৎকারভাবে সময় কাটানোর জন্য বাংলাদেশি সকল কাস্টমারদের কাছে যাতে বিচ ক্লাবটি যাতে গ্রহণযোগ্যতা পায়, তেমনটিই আশা করছি আমরা। এখানে আপাতত একসঙ্গে ৭০ জন মানুষ বসতে পারবেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পদ্মা পাড়ে ‘ইশো বিচ ক্লাব’

আপডেট সময় ০১:০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

দেশের প্রথম পপ-আপ রেস্টুরেন্ট ‘ইশো বিচ ক্লাব’ চালু করলো আধুনিক আসবাব ও জীবনধারা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান ইশো। খোলা আকাশের নিচে পদ্মা নদীর তীরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে স্থাপন করা হয়েছে এই রেস্টুরেন্ট। ঢাকার অদূরে মাওয়ায় কাছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানার বেজগাঁও গ্রামের মৃধা বাড়ি পাশে রেস্টুরেন্টটি অবস্থিত।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে এই পপ-আপ রেস্টুরেন্টের উদ্বোধন করেন ইশোর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রায়ানা হোসেন।

রেস্টুরেন্ট ঘুরে দেখা যায়, একেবারেই খরস্রোতা পদ্মার তীরে স্থাপন করা হয়েছে রেস্টুরেন্টটি। বাতাসে কলাপাতার আওয়াজ আপনাকে স্বাগতম জানাবে। রেস্টুরেন্টের সামনে রয়েছে খোলা জায়গা, যেখানে গেট টু গেদার, জন্মদিন বা ছোট পার্টির আয়োজন করা যাবে। আর নদীর পড়ে রয়েছে একটি দোলনাও।

সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি ফ্লোরের উপর তৈরি ইশো বিচ ক্লাবের মূল রেস্টুরেন্টের সামনের অংশ চারিদিক একেবারেই খোলা। মাথার ওপরের ছাউনি হিসেবে রয়েছে বাঁশের চাটাই। রেস্টুরেন্টের এই অংশে বসলে পদ্মায় চলা নৌকার আওয়াজ আপনার মন জয় করে নেবে। আর ঝিরিঝিরি বাতাস তো আছেই। এছাড়া রেস্টুরেন্টের আরেকটি পার্ট আছে কাঁচে ঘেরা।

dhakapost

পদ্মার পাড়ে সাদা রঙের বালির উপরে নির্মিত ইশো বিচ ক্লাব পরিবার, প্রয়োজন, খাদ্য রসিক এবং ভ্রমণপিপাসুদের পরিদর্শনের জন্য আদর্শ একটি স্থান হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়াও খোলা আকাশের নিচে সুস্বাদু খাদ্য উপভোগ কিংবা পরিবার বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর উপযুক্ত এই ইশো বিচ ক্লাব। প্রাকৃতিক পরিবেশে স্থাপিত এই রেস্টুরেন্টে মুখরোচক খাবারের সাথে অতিথিরা ইশোর চিন্তাশীল ডিজাইন, পণ্য এবং অভিনব পরিবেশের সাথে পরিচিত হবে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন স্বাদের সাথে দেশীয় ঘরানার মিশ্রণে তৈরি বিচ ক্লাবের মেন্যুতে পাওয়া যাবে হ্যান্ডক্রাফটেড বার্গার, অ্যাপিটাইজার, গ্রিল, এসোর্টেড প্ল্যাটার্স এবং রকমারি মকটেইলস। খাবার পরিবেশনেও থাকছে রুচিশীলতার ছোঁয়া, যাতে ইশো’র পণ্যের মত এখানেও নান্দনিকতার ছাপ থাকে স্পষ্ট।

উত্তাল পদ্মার ঠিক পাশেই অবস্থিত ইশো বিচ ক্লাবে আরও থাকছে নৌকাভ্রমণ, রাতে খোলা আকাশের নিচে বসে বিভিন্ন ব্যান্ড/আর্টিস্টদের লাইভ মিউজিকাল পারফরম্যান্স, বারবিকিউ ও লাইভ গ্রিল উপভোগের অসাধারণ কিছু স্মৃতি তৈরির সুযোগ।

ইশো বিচ ক্লাব সম্পর্কে রায়ানা হোসেন বলেন, নাগরিক কোলাহল পেছনে ফেলে একটুখানি নিঃশ্বাস নিতে পারা, আনন্দ উদযাপন ও সুন্দর কিছু স্মৃতি তৈরির জন্য ইশো বিচ ক্লাবটি ডিজাইন করা হয়েছে। মানসম্পন্ন খাবার ও সেবা প্রদানের মধ্যে দিয়ে চমৎকারভাবে সময় কাটানোর জন্য বাংলাদেশি সকল কাস্টমারদের কাছে যাতে বিচ ক্লাবটি যাতে গ্রহণযোগ্যতা পায়, তেমনটিই আশা করছি আমরা। এখানে আপাতত একসঙ্গে ৭০ জন মানুষ বসতে পারবেন।