ঢাকা ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

সিঅ্যান্ডএফের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে স্থবিরতা

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) নেতারা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা কাস্টমস হাউসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। একই সঙ্গে তারা শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রমে স্থবিরতা চলে আসে।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) দুপুর ১২টার দিকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার অধিকার আছে, না করারও আছে। কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কর্মসূচি সারাদেশে চলছে। এটার মূল বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে ফোন করা হলে মিটিংয়ে আছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, কাস্টমস হাউস খোলা রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন করছে। তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসের চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ফেডারেশনের উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকে। এক পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত বছরের ২৮ জুলাই ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ সভার আহ্বান করে। সভায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত দাবি-দাওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয় এবং লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রস্তাবনা মোতাবেক বিধিমালা সংশোধন করা হবে বলে ফেডারেশনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

সিঅ্যান্ডএফের কর্মবিরতিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে স্থবিরতা

আপডেট সময় ০২:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মবিরতি পালন করেছেন কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (সিঅ্যান্ডএফ) নেতারা। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা কাস্টমস হাউসে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। একই সঙ্গে তারা শুল্কায়ন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রমে স্থবিরতা চলে আসে।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম (বিলু) দুপুর ১২টার দিকে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করেছি। একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কাজ করার অধিকার আছে, না করারও আছে। কাস্টমস হাউসে শুল্কায়ন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এই কর্মসূচি সারাদেশে চলছে। এটার মূল বিষয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রণীত কাস্টমস এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালা।

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফাইজুর রহমানকে ফোন করা হলে মিটিংয়ে আছে জানিয়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী ফোন রিসিভ করেন। তিনি বলেন, কাস্টমস হাউস খোলা রয়েছে। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা আন্দোলন করছে। তারা সকাল থেকে কাস্টমস হাউসের চত্বরে অবস্থান নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস বিধিমালা বাতিলের দাবিতে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি দেশের সকল কাস্টম হাউস ও শুল্ক স্টেশনগুলোতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ঘোষণা করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ফেডারেশনের উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত থাকে। এক পর্যায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত বছরের ২৮ জুলাই ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথ সভার আহ্বান করে। সভায় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত দাবি-দাওয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয় এবং লিখিত প্রস্তাবনা পেশ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তারা প্রস্তাবনা মোতাবেক বিধিমালা সংশোধন করা হবে বলে ফেডারেশনের নেতাদের আশ্বস্ত করেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।