ভারতে বেড়েই চলেছে সোনার দাম। কলকাতায় সোনা একদিনে (২৪ ক্যারট, ১০ গ্রাম) ৫৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫৬,৩৫০ টাকা। এছাড়া এক কেজি রুপোর বাট ৯৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৯,৬৫০ টাকা।
এদিকে ২০২০ সালের ৭ আগস্ট ৫৬,৯৬০ টাকায় উঠেছিল সোনা। ওটাই সর্বোচ্চ। ফলে এর দাম আবার ৫৬ হাজার টাকা পেরোতেই রেকর্ড ভাঙার আশঙ্কা দানা বেঁধেছে। সোনায় লগ্নিকারীরা দাম বৃদ্ধির সুফল পেলেও, গয়নার ক্রেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। বিশেষ করে বিয়ের জন্য যারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের তো বাধ্য হয়ে তা কিনতেই হবে। এছাড়াও বাজারে ক্রেতা কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ছোট ছোট দোকানগুলোও।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সুরক্ষিত লগ্নি হিসেবে সোনার চাহিদা বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। তাই চড়া হচ্ছে এর দাম। একে তো সোনার আমদানি খরচ বেড়েছে, তার ওপর টাকার নিরিখে ডলারও উঁচুতে। যা আমদানি মূল্যকে ঠেলে তুলছে। প্রায় সাড়ে ৪ মাসে এর বৃদ্ধি ৬৫৫০ টাকা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাজনিত অনিশ্চয়তার আবহেও এমন হয়েছিল। সুরক্ষিত সোনাকে আঁকড়ে ধরেছিলেন সবাই। কিছু দেশে কোভিড সংক্রমণ বাড়তেই ফের দেশে-বিদেশে সে ঝোঁক। বিশ্ব বাজারে প্রতি আউন্স ২৪ ক্যারট সোনা ছুঁয়েছে ১৮৪৩ ডলার।
ভারতের জেম অ্যান্ড জুয়েলারি পার্কের সভাপতি অশোক বেঙ্গানি বলছেন, বন্ড থেকেও বহু লগ্নি সোনায় সরছে। কারণ, অনেকের ধারণা আমেরিকায় সুদ বৃদ্ধিতে এবার রাশ পড়তে পারে। এদিকে পাকা সোনা বিক্রেতা জেজে গোল্ডের কর্ণধার হর্ষদ আজমেরার দাবি, বিশ্ব বাজারে সোনার জোগান কমেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় কিছু খনি বন্ধ হওয়ায়। অন্যদিকে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ ব্যাংকগুলো সোনার চাহিদা চড়া হওয়ায় দাম বাড়িয়েছে।
সোনার দাম বাড়লে তার থেকে অনেক বেশি গতিতে চড়ে রুপো, বলছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল বুলিয়ান অ্যান্ড জুয়েলারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি দীনেশ খাবরা। এর আগে সোনা রেকর্ড গড়ার সময় রুপোর বাটের কেজি ৭৫,০৩০ টাকা ছুঁয়েছিল। জেম অ্যান্ড জুয়েলারি এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলের চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখ বলেন, সোনার বিকল্প হিসেবে বিদেশে রুপোর গয়নার চাহিদা বেড়েছে। ভারত থেকে তার রপ্তানি বৃদ্ধিও দাম বৃদ্ধির কারণ।