ঢাকা ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

গভীর সমুদ্রে ৫ ঘণ্টা আটকে ছিলেন তারা

‘প্রহেলিকা’ সিনেমার গানের শুটিং শেষে ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে কক্সবাজার ফিরছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। বেলা আড়াইটায় সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা সবাই রাত ১০টায় কক্সবাজার ফেরার কথা থাকলেও সবাই যখন ফেরেন, তখন সকাল ছয়টা। পরিচালক জানান, পাঁচ ঘণ্টা ধরে তারা গভীর সমুদ্রে আটকে ছিলেন।

ঘটনার বর্ণনায় চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, “মধ্যসাগরে আমরা আটকে আছি টানা পাঁচ ঘণ্টা। রাত ৯টা থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ‘প্রহেলিকা’ টিম কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের এমভি বে ওয়ানে আছি মাঝসমুদ্রে। দূর থেকে দেখেছি, ভাটার কারণে আমাদের শিফট করে নিয়ে যাওয়ার জাহাজটার কী অবস্থা। কী যে যাচ্ছে সময়টা। সবাই ওপরওয়ালাকে ডাকছে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও শাহাদাত সোহেল ভাইয়ের পারদর্শিতার কথা বলতেই হয়। কিন্তু আমাদের কাছে পুরোটাই অসম্ভব মিরাকল ছিল।”

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কারিগরি ত্রুটির কারণে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার পথে যাত্রীসেবা বন্ধ রেখেছে। এ সময়ে বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান দিয়ে সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজার পথের যাত্রীদের আনার কাজটিতে সহযোগিতা করেছে। তবে এমভি বে ওয়ান কক্সবাজার ঘাটে আসেই না। এই পথে যারা এমভি বে ওয়ানে করে এই কয় দিন এসেছে, তাদের গভীর সমুদ্র থেকে বারো আউলিয়া জাহাজে কক্সবাজার ঘাটে আনার কাজ করা হয়।’

Tag :

One thought on “গভীর সমুদ্রে ৫ ঘণ্টা আটকে ছিলেন তারা

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গভীর সমুদ্রে ৫ ঘণ্টা আটকে ছিলেন তারা

আপডেট সময় ০৪:২১:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

‘প্রহেলিকা’ সিনেমার গানের শুটিং শেষে ছবির শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে কক্সবাজার ফিরছিলেন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। বেলা আড়াইটায় সেন্ট মার্টিন থেকে ছেড়ে আসা সবাই রাত ১০টায় কক্সবাজার ফেরার কথা থাকলেও সবাই যখন ফেরেন, তখন সকাল ছয়টা। পরিচালক জানান, পাঁচ ঘণ্টা ধরে তারা গভীর সমুদ্রে আটকে ছিলেন।

ঘটনার বর্ণনায় চয়নিকা চৌধুরী তার ফেসবুকে লিখেছেন, “মধ্যসাগরে আমরা আটকে আছি টানা পাঁচ ঘণ্টা। রাত ৯টা থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমরা ‘প্রহেলিকা’ টিম কর্ণফুলী ক্রুজ লাইনের এমভি বে ওয়ানে আছি মাঝসমুদ্রে। দূর থেকে দেখেছি, ভাটার কারণে আমাদের শিফট করে নিয়ে যাওয়ার জাহাজটার কী অবস্থা। কী যে যাচ্ছে সময়টা। সবাই ওপরওয়ালাকে ডাকছে। ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ শামসুজ্জামান ও শাহাদাত সোহেল ভাইয়ের পারদর্শিতার কথা বলতেই হয়। কিন্তু আমাদের কাছে পুরোটাই অসম্ভব মিরাকল ছিল।”

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে আমাদের কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কারিগরি ত্রুটির কারণে কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন-কক্সবাজার পথে যাত্রীসেবা বন্ধ রেখেছে। এ সময়ে বিলাসবহুল জাহাজ এমভি বে ওয়ান দিয়ে সেন্ট মার্টিন থেকে কক্সবাজার পথের যাত্রীদের আনার কাজটিতে সহযোগিতা করেছে। তবে এমভি বে ওয়ান কক্সবাজার ঘাটে আসেই না। এই পথে যারা এমভি বে ওয়ানে করে এই কয় দিন এসেছে, তাদের গভীর সমুদ্র থেকে বারো আউলিয়া জাহাজে কক্সবাজার ঘাটে আনার কাজ করা হয়।’