ঢাকা ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন বিটিভির সংবাদ বেসরকারি টেলিভিশনে সম্প্রচারের প্রয়োজন নেই : নাহিদ শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‍্যাব ক্যাম্পের অভিযানে দু’কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার, আটক-১ অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত হলেই ভাসতে থাকে প্রথম শ্রেণীর জাজিরা পৌরসভা। চট্টগ্রামে সাবেক সাংসদ বাদলের কবরে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

শরীরে সুপার গ্লু ঢেলে যুগলকে আটকে হত্যা করলেন তান্ত্রিক

ভারতের রাজস্থানে মিলনরত যুগলের শরীরে সুপার গ্লু ঢেলে আটকে ফেলে তাদের হত্যা করেছেন এক তান্ত্রিক। একজনের গলার নলি কেটে ও অন্যজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

গত ১৮ নভেম্বর ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুর নামক একটি জায়গায়। স্থানীয় পুলিশ ইতোমধ্যে ভালেশ কুমার নামের ওই তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঠান্ডা মাথার এই খুনি বলছেন, তিনি অনুতপ্ত। আর তার এই অপরাধের শাস্তি পাওয়া উচিৎ।

সাংবাদিকরা ভালেশকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি যুগলকে খুন করেছেন? প্রথমে তিনি দাবি করেন যে, সম্মোহনের পদ্ধতি শেখানোর জন্য ওই যুগল জোরাজুরি করছিলেন। আর সেই কারণেই তাদের খুন করেছেন।

কিন্তু ভালেশের এই দাবি কতটা সত্য, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার যুগলের নাম রাহুল মিনা (৩০) এবং সোনু কুঁয়ার (২৮)। পুলিশ জানিয়েছে, রাহুল বিবাহিত। সোনুও তাই। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে তান্ত্রিক ভালেশের ভালো যোগাযোগ ছিল। রাহুলের সঙ্গে সোনুর একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটা জানতে পেরেছিলেন তান্ত্রিক।

বিষয়টি জানার পর রাহুলের স্ত্রীকে তা জানান ওই তান্ত্রিক। এ নিয়ে রাহুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়।

এর এক পর্যায়ে তান্ত্রিক রাহুল এবং সোনুকে ডাকেন। একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাদের দু’জনকে মিলনে লিপ্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। দু’জন মিলনে লিপ্ত হতেই বোতলে ভরা গ্লু তাদের গায়ে ঢেলে দেন। তাতে দু’জন আটকে গেলে রাহুলের গলার নলি কেটে দেন, সোনুকে কুপিয়ে খুন করেন তান্ত্রিক।

তবে ঠিক কী কারণে তান্ত্রিক এই যুগলকে হত্যা করলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি

শরীরে সুপার গ্লু ঢেলে যুগলকে আটকে হত্যা করলেন তান্ত্রিক

আপডেট সময় ০৩:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর ২০২২

ভারতের রাজস্থানে মিলনরত যুগলের শরীরে সুপার গ্লু ঢেলে আটকে ফেলে তাদের হত্যা করেছেন এক তান্ত্রিক। একজনের গলার নলি কেটে ও অন্যজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। 

গত ১৮ নভেম্বর ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের উদয়পুর নামক একটি জায়গায়। স্থানীয় পুলিশ ইতোমধ্যে ভালেশ কুমার নামের ওই তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর ঠান্ডা মাথার এই খুনি বলছেন, তিনি অনুতপ্ত। আর তার এই অপরাধের শাস্তি পাওয়া উচিৎ।

সাংবাদিকরা ভালেশকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি যুগলকে খুন করেছেন? প্রথমে তিনি দাবি করেন যে, সম্মোহনের পদ্ধতি শেখানোর জন্য ওই যুগল জোরাজুরি করছিলেন। আর সেই কারণেই তাদের খুন করেছেন।

কিন্তু ভালেশের এই দাবি কতটা সত্য, তা নিয়ে সন্দিহান পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের শিকার যুগলের নাম রাহুল মিনা (৩০) এবং সোনু কুঁয়ার (২৮)। পুলিশ জানিয়েছে, রাহুল বিবাহিত। সোনুও তাই। দু’জনের পরিবারের সঙ্গে তান্ত্রিক ভালেশের ভালো যোগাযোগ ছিল। রাহুলের সঙ্গে সোনুর একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটা জানতে পেরেছিলেন তান্ত্রিক।

বিষয়টি জানার পর রাহুলের স্ত্রীকে তা জানান ওই তান্ত্রিক। এ নিয়ে রাহুলের সঙ্গে তার স্ত্রীর পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়।

এর এক পর্যায়ে তান্ত্রিক রাহুল এবং সোনুকে ডাকেন। একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাদের দু’জনকে মিলনে লিপ্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। দু’জন মিলনে লিপ্ত হতেই বোতলে ভরা গ্লু তাদের গায়ে ঢেলে দেন। তাতে দু’জন আটকে গেলে রাহুলের গলার নলি কেটে দেন, সোনুকে কুপিয়ে খুন করেন তান্ত্রিক।

তবে ঠিক কী কারণে তান্ত্রিক এই যুগলকে হত্যা করলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।