দোহার প্রাণকেন্দ্রেই অবস্থিত এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম। সুদূর উরুগুয়ে থেকে কয়েক হাজার দর্শক বেশ আনন্দ নিয়ে গ্যালারিতে এসেছিলেন। খেলা শেষে আর দুই বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সেই উৎসব টেকেনি। উল্টো কোরিয়ানরা গোলশূন্য ড্র করে এক পয়েন্ট নিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা রীতিমতো এশিয়ানদের বিপক্ষে হোঁচট খাচ্ছে । আর্জেন্টিনার সৌদি আরবের কাছে হার দিয়ে শুরু। এরপর জাপানের জার্মানি বধ। আজ দক্ষিণ কোরিয়া উরুগুয়েকে হারাতে না পারলেও শূন্য হাতে মাঠ ছাড়েনি। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু ইরান ও কাতার হেরেছে এ পর্যন্ত।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল বল দখলে সমান ছিল। গোলের সুযোগও সমানভাবে করেছে। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। ম্যাচ ড্রয়ের জন্য উরুগুয়ে খানিকটা ভাগ্যকেও দুষতে পারে। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে উরুগুয়ের আক্রমণ ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। অন্য দিকে দক্ষিণ কোরিয়াও শেষ মুহূর্তে গোলের সুন্দর আক্রমণ রচনা করে। উরুগুয়ের রক্ষণে সেটা প্রতিহত হয়।
চলতি বিশ্বকাপে ভিডিও অ্যাসিসেন্ট রেফারি সহায়তার জন্য ইনজুরি সময় হচ্ছে অনেক। এই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরি সময় হয়েছে মিনিট সাতেক। শেষ কয়েক মিনিট এশিয়ার দল উরুগুয়েকে চাপে রাখে। উরুগুয়ের রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে সময় পার করে। রেফারির ম্যাচ শেষের বাঁশির সঙ্গে এশিয়ার আরেকটি দলের চ্যাম্পিয়ন রুখে দেয়ার গল্প রচিত হয়।