ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ড. ইউনূসকে বিএনপি নেতা উপদেষ্টাদের মধ্যে আওয়ামী দোসরদের বের করে জেলে দিন নান্দিনা ব্রীজের নির্মাণকাজ দেখে বোঝা যায়, এটি চরবাসীর দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার প্রতীক। বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক লোহাগাড়ায় সাংবাদিক পিটিয়ে থানায় খোশগল্পে আ. লীগ নেতা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে শিশুর খর্বকায় বেশি, প্রতিরোধে জৈব কৃষির গুরুত্ব নিয়ে ক্যাম্পেইন গোয়াইনঘাটে প্রশাসনের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপী জাফলং-পিয়াইন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন পূর্বের নাম ফিরে পেল সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, মাধবপুরে আনন্দের জোয়ার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এক মাসে সেবার মান না বাড়লে বিআরটিএর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ৬৪ কোটি ডলার ঋণ ছাড় ১০ ফেব্রুয়ারি

বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছ নামের এক শিক্ষক। তিনি উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের শহীদ শাহজাহান বীর বিক্রম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় গত ২৪ অক্টোবর করা নাশকতার মামলার এজাহারে তার নাম থাকার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। তবে একটানা দেড় মাস ধরে বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

( ১৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে, বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতির স্বাক্ষর দেখা যায়। কিন্তু বিদ্যালয়ে তাকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোজাম্মেল হক বলেন, অনেক দিন ধরে আমাদের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন না। মামলার পর তাকে আমি বিদ্যালয়ে আসতে দেখিনি।

বিদ্যালয়ের অন্য সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, আমাদের হেড স্যার স্কুলে আসেন না অনেক দিন। স্কুলে না এসেও হাজিরা খাতায় কীভাবে তার স্বাক্ষর পাওয়া যায় বিষয়টি আমার মাথায় ধরে না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে না এসেও কীভাবে তিনি বেতন উত্তোলন করেন? বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।এ
বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনের সুযোগ নেই। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ড. ইউনূসকে বিএনপি নেতা উপদেষ্টাদের মধ্যে আওয়ামী দোসরদের বের করে জেলে দিন

বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও বেতন তোলেন প্রধান শিক্ষক

আপডেট সময় ০৯:৩৮:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও নিয়মিত বেতন তুলছেন মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছ নামের এক শিক্ষক। তিনি উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের শহীদ শাহজাহান বীর বিক্রম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

স্থানীয়রা জানায়, দুই বছর আগে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলার ঘটনায় গত ২৪ অক্টোবর করা নাশকতার মামলার এজাহারে তার নাম থাকার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না। তবে একটানা দেড় মাস ধরে বিদ্যালয়ে না এসেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

( ১৯ ডিসেম্বর) সরেজমিনে, বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতির স্বাক্ষর দেখা যায়। কিন্তু বিদ্যালয়ে তাকে উপস্থিত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোজাম্মেল হক বলেন, অনেক দিন ধরে আমাদের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেন না। মামলার পর তাকে আমি বিদ্যালয়ে আসতে দেখিনি।

বিদ্যালয়ের অন্য সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, আমাদের হেড স্যার স্কুলে আসেন না অনেক দিন। স্কুলে না এসেও হাজিরা খাতায় কীভাবে তার স্বাক্ষর পাওয়া যায় বিষয়টি আমার মাথায় ধরে না। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান চৌধুরী মুক্তা জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে না এসেও কীভাবে তিনি বেতন উত্তোলন করেন? বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক মিনহাজুর রহমান চৌধুরী আনিছের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।এ
বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বেতন উত্তোলনের সুযোগ নেই। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।