আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) প্রথম জাতীয় কাউন্সিলে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ৬১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে দলের আভ্যন্তরীণ নির্বাচন পরিচালনা কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ওয়ারেসুল করিমের নেতৃত্বে কমিশন মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ করে।
এতে বলা হয়, আগামী ২৮ ডিসেম্বর এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলের ৫ জন নেতা। তারা হলেন- বর্তমান আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, পার্টির সাবেক আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, বর্তমান সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু ও যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া।
এছাড়া দলের গুরুত্বপূর্ণ পর্ষদ জাতীয় নির্বাহী কাউন্সিলের ২১টি সদস্যপদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোট ৬১ জন। একজন প্রার্থীর ব্যাপারে আপত্তি আসায় কমিশন সেটা যাচাই-বাছাই ও শুনানি শেষে তার মনোনয়ন বৈধ হিসেবে নিষ্পত্তি করেছে।
ইতোপূর্বে ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ছিল চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আজ বুধবার মনোনয়নপত্র সংক্রান্ত আপত্তি দাখিল ও বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র সংক্রান্ত আপত্তি বিষয়ে শুনানি ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
২০২০ সালের ২ মে এবি পার্টি নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। গঠনের সাড়ে ৩ বছরের মাথায় সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে চলতি বছরের ১৯ আগস্ট দলটি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন লাভ করে। তাই এবার প্রথম প্রস্তাবিত গঠনতন্ত্রের আলোকে দলের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২২২ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির নেতৃত্বে এতদিন দলটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। প্রথম কাউন্সিল হিসেবে দলের চেয়ারম্যান পদে ৫ জন এবং নির্বাহী পরিষদের সদস্য পদে ৬১ জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে দলের নেতারা গণতান্ত্রিক চর্চার দারুণ সূচনা হিসেবে দেখছেন। ইতোমধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভাগ ও জেলাগুলোতে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন দলের নেতাকর্মীরা। উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন তারা।