জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূলমন্ত্রে গণতন্ত্র নিহিত ছিল, সামরিক বা অন্য কোনো পথ নয়। এদেশের মানুষের হাজার বছরের গ্লানি, বঞ্চনা থেকে মুক্তি দিতে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। এজন্য তিনি দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। এই দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল ইম্পেরিয়াল শক্তির বিরুদ্ধে, কলোনিয়াল রুলের বিরুদ্ধে, অসৎ, দুর্নীতিবাজ, মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে আমূল পরিবর্তন। এই কর্মসূচির মধ্য ছিল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিনাশের আহ্বান।
রোববার (২০ নভেম্বর) ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব, ৭৫ এর হত্যাকাণ্ড এবং তৎপরবর্তী বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু এক কঠিন শপথ নিয়ে সমাজ বিপ্লবের দিকে এগোলেন। তিনি এর ‘ফুল এজেন্ডা’ নিয়ে কাজ শুরুর সময় ঠিক করলেন আগস্ট ১৯৭৫। আর সেই সময়ে তাকে সপরিবারে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হলো। এ ছিল পরিকল্পিত, সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য সাধনে হত্যাকাণ্ড।
তিনি আরও বলেন, দেশি-বিদেশি চিহ্নিত শত্রুরা শেখ মুজিবের বিপ্লব ভাবনাকে হত্যার চেষ্টা করল। কিন্তু তারা জানলো না আসলে মুজিবের এই আদর্শ বা ভাবনা বিনাশ হওয়ার নয়। বঙ্গবন্ধু তার দর্শন প্রভাবে চিরভাস্বর। তার আদর্শিক-বৈপ্লবিক ভাবনা বিশ্ব পরিসরে আজ স্বীকৃত।
মো. মশিউর রহমান বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যখনই যত বেশি পুঁজিবাদী গ্রাসে, সংকটে নিপতিত হয়, বঙ্গবন্ধুর সমাজ দর্শন, ভাবনা ও বিপ্লবী মুক্তি-নির্দেশনা ততবেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে।