ঢাকা ০৪:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয় ইমরান খানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান চালানোর শঙ্কা জবির ৯ শিক্ষকসহ ২৫৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা উপ-রাষ্ট্রপতি পদ ফেরাতে চায় বিএনপি, আগে কারা ছিলেন? বঞ্চিত ক্রীড়া সংগঠকদের মাঠে ফিরিয়ে আনতে চাই : আমিনুল হক বিহারী মুরাদ দিদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র মঠবাড়িয়ার সাপলেজা ইউনিয়নে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সংঘাত অস্থিরতার দায় সরকার এড়াতে পারে না: এবি পার্টি ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের’ মাহবুবুলসহ ১৮ জন কারাগারে রংপুর জেলায় বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযান পরিচালনা

বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে কেন দেখা মিলছে না শাহরুখের?

গত শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও ভারতের রাজনৈতিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকীকে। তার এই খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সদস্যরা।

বলা হয়ে থাকে, বলিউড ও রাজনীতির মেলবন্ধনের প্রতীক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। বলিউডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। বিশেষ করে শাহরুখ-সালমানের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটানো ছিল তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। এসব কারণে তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত তারকারা।

এদিকে প্রিয় বন্ধুর এই আকস্মিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন সালমান খান। সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এই খবর পাওয়ামাত্র শনিবার ‘বিগ বস্ ১৮’-এর শুটিং বন্ধ করে দেন তিনি। গুলিবিদ্ধ নেতাকে চিকিৎসার কারণে ভর্তি করানো হয়েছিল মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।

তড়িঘড়ি সালমান পৌঁছে যান সেখানে। যদিও তাকে নিরাপত্তার কারণে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। ‘ভাইজান’ সে কথা কানে তোলেননি।

বলিউডের কয়েকটি বলছে, প্রয়াত বন্ধুকে শেষবারের মতো দেখে আসার পর থেকেই নাকি ঘুমাতে পারছেন না তিনি। নিজের মাথার ওপর মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে জেনেও বারবার সিদ্দিকিদের বাড়ি গিয়েছেন সালমান।

একা তিনি নন, বলিউডের ছোট বড় সকল অভিনেতা সেখানে যান। শিল্পা শেট্টি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে একমাত্র দেখা যায়নি শাহরুখ খানকে। একসময় বাবার মাধ্যমে সালমানের সঙ্গে ফের বন্ধুত্ব হয় শাহরুখের। তাহলে কেন তার মৃত্যুতে দেখা গেল না বাদশাকে!

গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছেন সালমান খান। তাকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠদেরও একইভাবে হুমকি দিচ্ছেন বিষ্ণোইর দলের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেই বাবা সিদ্দিকির এমন পরিণতি।

তবে বাবাকে হত্যার পুরো ঘটনাই একটা রাজনৈতিক মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। আর বহু বছর ধরেই রাজনীতির থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছেন শাহরুখ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায় সালমানের ওপর ক্ষুব্ধ বহু বছর আগে কৃষ্ণসার হরিণ খুনের কারণে। আর সেই কারণেই খুব সাবধানতা অবলম্বন করছেন শাহরুখ খান। তার কারণে কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগুক, তিনি তা চান না। সেই কারণে পুরো ঘটনায় খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেছেন অভিনেতা। যদিও পুরোটাই কানাঘুষো।

বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে সালমানের সুসম্পর্ক ছিল, এ কথা সবারই জানা। তার জন্যই শাহরুখের সঙ্গে ফের মিটমাট হয়েছিল সালমানের। বলিউপাড়ায় প্রায়ই কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন বাবা সিদ্দিকি।

২০১৩ সালের কথা, তখন শাহরুখ ও সালমানের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল। সালমানের সাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের পার্টিতে তর্কে জড়ান বলিউডের দুই খান। তারপরেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। এরপরে বলিউডও প্রায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।

একদিকে শাহরুখের অনুগামীরা। অন্যদিকে সালমানের। অগত্যা হস্তক্ষেপ করতে হয় বাবা সিদ্দিকিকে। রাজনীতির দুনিয়ার মানুষ হলেও বলিউডের সঙ্গে তার সখ্য বারবার ধরা পড়েছে। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ফের বন্ধুত্ব তৈরি হয় দুই মহাতারকার মাঝে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কে আসল কে নকল বোঝা বড় দায় শুধু নামের মিলে বেরোবির শিক্ষক হয়

বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে কেন দেখা মিলছে না শাহরুখের?

আপডেট সময় ০৩:০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

গত শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও ভারতের রাজনৈতিক দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা বাবা সিদ্দিকীকে। তার এই খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠীর সদস্যরা।

বলা হয়ে থাকে, বলিউড ও রাজনীতির মেলবন্ধনের প্রতীক ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। বলিউডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তার। বিশেষ করে শাহরুখ-সালমানের দীর্ঘ দ্বন্দ্ব মিটানো ছিল তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। এসব কারণে তার মৃত্যুতে স্তম্ভিত তারকারা।

এদিকে প্রিয় বন্ধুর এই আকস্মিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন সালমান খান। সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এই খবর পাওয়ামাত্র শনিবার ‘বিগ বস্ ১৮’-এর শুটিং বন্ধ করে দেন তিনি। গুলিবিদ্ধ নেতাকে চিকিৎসার কারণে ভর্তি করানো হয়েছিল মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে।

তড়িঘড়ি সালমান পৌঁছে যান সেখানে। যদিও তাকে নিরাপত্তার কারণে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। ‘ভাইজান’ সে কথা কানে তোলেননি।

বলিউডের কয়েকটি বলছে, প্রয়াত বন্ধুকে শেষবারের মতো দেখে আসার পর থেকেই নাকি ঘুমাতে পারছেন না তিনি। নিজের মাথার ওপর মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে জেনেও বারবার সিদ্দিকিদের বাড়ি গিয়েছেন সালমান।

একা তিনি নন, বলিউডের ছোট বড় সকল অভিনেতা সেখানে যান। শিল্পা শেট্টি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে একমাত্র দেখা যায়নি শাহরুখ খানকে। একসময় বাবার মাধ্যমে সালমানের সঙ্গে ফের বন্ধুত্ব হয় শাহরুখের। তাহলে কেন তার মৃত্যুতে দেখা গেল না বাদশাকে!

গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নিশানায় দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছেন সালমান খান। তাকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তার ঘনিষ্ঠদেরও একইভাবে হুমকি দিচ্ছেন বিষ্ণোইর দলের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত তাদের হাতেই বাবা সিদ্দিকির এমন পরিণতি।

তবে বাবাকে হত্যার পুরো ঘটনাই একটা রাজনৈতিক মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। আর বহু বছর ধরেই রাজনীতির থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছেন শাহরুখ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজস্থানের বিষ্ণোই সম্প্রদায় সালমানের ওপর ক্ষুব্ধ বহু বছর আগে কৃষ্ণসার হরিণ খুনের কারণে। আর সেই কারণেই খুব সাবধানতা অবলম্বন করছেন শাহরুখ খান। তার কারণে কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগুক, তিনি তা চান না। সেই কারণে পুরো ঘটনায় খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেছেন অভিনেতা। যদিও পুরোটাই কানাঘুষো।

বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে সালমানের সুসম্পর্ক ছিল, এ কথা সবারই জানা। তার জন্যই শাহরুখের সঙ্গে ফের মিটমাট হয়েছিল সালমানের। বলিউপাড়ায় প্রায়ই কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন বাবা সিদ্দিকি।

২০১৩ সালের কথা, তখন শাহরুখ ও সালমানের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল। সালমানের সাবেক প্রেমিকা ক্যাটরিনা কাইফের জন্মদিনের পার্টিতে তর্কে জড়ান বলিউডের দুই খান। তারপরেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। এরপরে বলিউডও প্রায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।

একদিকে শাহরুখের অনুগামীরা। অন্যদিকে সালমানের। অগত্যা হস্তক্ষেপ করতে হয় বাবা সিদ্দিকিকে। রাজনীতির দুনিয়ার মানুষ হলেও বলিউডের সঙ্গে তার সখ্য বারবার ধরা পড়েছে। তার ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ফের বন্ধুত্ব তৈরি হয় দুই মহাতারকার মাঝে।