কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়ন অলিপুর বাজারে ভূয়া দাঁতের ডাক্তারসহ ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী অলিপুর পশ্চিম বাজার একটি ভাড়া বাসায় অনৈতিক কর্মকান্ডে ধরেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, বেকামুলিয়া মৃত বেল্লাল হোসেনে বড় মেয়ে এক সন্তানের জননী, ভূয়া সার্টিফিকেট ধারি জান্নাতুল ফেরদাউস মুন্নী নিজেকে দাঁতের ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অলিপুর বিসমিল্লাহ্ ফার্মেসিতে ডাক্তারি করে আসছেন। মূলত সে কোন ডাক্তারই নয়। ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী মালিপাড়ার মুগুলের ছেলে, হাছান বলেন, স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাদের সাথে বিয়ে হয়েছে অনেক দিন আগে। তাই তার স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।
এতে স্থানীয়রা বিয়ের কাবিননামা সহ বিয়ে বিভিন্ন কাজ পত্র দেখাতে বললে কাবিননামা বা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
উক্ত বিষয়ে ভূয়া ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদাউস মুন্নি কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিয়ে হয়নি বলে জানান।
এ বিষয়ে মুন্নির স্বামী বলেন, আমি একজন প্রবাসী আমার সাথে ২০২০ সাল থেকে কুমিল্লার কোটে মামলা চলমান, আমি তার পরকীয়া বাধা দেওয়ায় আমাকে নারীর শিশু নির্যাতন মামলা দেয়, সে থেকে কাবিননামা শর্তে ৭ লক্ষ টাকা ধার্য করেন। এবং আমি তাকে এই পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছি। এখন পর্যন্ত আমার সাথে কোন ডিভোর্স হয় নাই। শরীয়া অনুসারে আমি তার এখনো স্বামী । এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যাতে করে আর কোন প্রবাসী ছেলের জীবন এভাবে নষ্ট না হয়।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি এ কে ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি জেনেছি, তবে স্থানীয়দের মাধ্যমে পারিবারিকভাবেই সমাধান করার জন্য বলা হয়েছে।