চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জাহাজভাঙা কারখানায় স্ক্র্যাপ জাহাজের পাম্প রুমে কাটিং কাজ করার সময় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১২ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের শীতলপুর তেঁতুলতলা এলাকার সাগর উপকূলে অবস্থিত শওকত আলী চৌধুরী মালিকানাধীন এস এন করপোরেশন নামের জাহাজ ভাঙা কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শিপইয়ার্ডের পাম্প রুমে প্রথমে বিস্ফোরণ হয়, পরে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।আহত শ্রমিকদের ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আহতরা হলেন- আহাম্মদ উল্লাহ, মোহাম্মদ আল-আমিন, মোহাম্মদ বরকত, হাবিল আহমেদ, মোহাম্মদ নিয়ামুল হক, আনোয়ার হোসেন, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ খাইরুল, মোহাম্মদ সাগর, মোহাম্মদ রফিক ও মোহাম্মদ সাইফুল।
এস এন কর্পোরেশনের ম্যানেজার (এডমিন) ওমর ফারুক বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজটি কাটার কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে ছিল। দুপুরে জাহাজের শেষপ্রান্তে থাকা পাম্প রুমের কাটিং কাজ করছিলেন শ্রমিকেরা। এই সময় হঠাৎই পাম্পের ভেতরে থাকা ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১০ জন শ্রমিক আহত হয়েছে। তবে আহতদের মধ্যে কারও অবস্থা গুরুতর নয়। তারপরও আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গুরুতর আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তারা ৩৬ নম্বর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি আছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসা অনেকে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ। এদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আহত ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।