জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার স্বামী, সন্তানসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা। এ সংক্রান্ত চিঠি দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বিএফআইইউর চিঠিতে শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন, তাদের ছেলে সৈয়দ এবতেশাম রফিক ও মেয়ে লামিসা শিরীন হোসাইন এবং মো. শফিউল ইসলামের ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাঠাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে এই পাঁচ জনের পিতা–মাতার নাম ও ক্ষেত্রবিশেষে স্বামী–স্ত্রীর নাম, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। মো. শফিউল ইসলামের পেশা হিসেবে সরকারি চাকরি ও ‘দি সুবহানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী’ উল্লেখ করা হয়েছে।
শিরীন শারমিন চৌধুরী পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ হিসেবে সব মহলে আলোচনা রয়েছে। তিনি রংপুরের একটি আসন থেকে দ্বাদশ সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্পিকার নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এর পর থেকে টানা তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর শিরীন শারমিন চৌধুরীকে আবার স্পিকার নির্বাচিত করা হয়। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এরপর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন এবং ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের ২৭ দিনের মাথায় গত ২ সেপ্টেম্বর স্পিকার হিসেবে পদত্যাগ করেন শিরীন শারমিন চৌধুরী।