লালমনিরহাটে জমা-জমিকে কেন্দ্র করে এক বৃদ্ধকে মারপিট করে ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
স্থানিয়দের কাছ থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বৃদ্ধ চাঁদ মিয়া (৬৮) মসজিদে নামাজ পড়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে পূর্বের জমাজমি সংক্রান্তের জেরধরে বৃদ্ধকে মারপিট করে টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটায় প্রতিবেশী আ’লীগ নেতা পরিচয় দান কারী মনজুরুল হক। শুধু মারপিটই নয় গত এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে চাঁদ মিয়ার পত্রিক জমির পুকুর/ডোবা থেকে প্রায় ২লক্ষ টাকার জাল কেটে দেয় এবং ওই পুকুর/ডোবা থেকে জুন মাসের ৬ তারিখে মনজুরুল ও তার দলবল নিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ জোর পূর্বক তুলে নিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে স্হানীয় জনপ্রতিনিধিরা কয়েক দফা বিচার করে দেওয়ার পরও বিচার মানছে না মনজুরুল।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২২ জুলাই দুপুর আনুমানিক ২টার দিকে যোহরের নামাজ আদায় শেষে ভুক্তভোগী বৃদ্ধ চাঁন মিয়া নিজ বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় বিবাদী সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ের পশ্চিম গুড়িয়াদহ চন্ডিমারি গ্রামের প্রতিবেশী মৃত ফয়েজ উদ্দিন দেওয়ানির ছেলে মনজুরুল হক (৫৫), মনজুরুলের ছেলে রেদওয়ান (২০), মনজুরুলের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৫০) বৃদ্ধ চাঁন মিয়াকে আটক করে টেনে হেচরে তাদের বাড়ির সামনে নিয়ে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত মনজুরুল হুকুম দিলে তার ছেলে রেদওয়ান ও স্ত্রী রাশেদা বেগম ফুল চাঁন মিয়ার পাঞ্জাবির কলার ধরে টানাহেঁচড়া করে মারধর শুরু করেন। লাঠি দিয়ে মারধর করে বৃদ্ধা চাঁদ মিয়ার শরীরে বিভিন্ন জায়গায় জখম করেন এবং তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা জমি বন্ধকের ২ লাখ টাকা জোরপূর্বক কেরে নেয় প্রতিপক্ষ মনজুরুল। এমনকি মনজুরুল ওই বৃদ্ধের গলা টিপে শ্বাসরুদ্ধের চেষ্টাও করেন।
বৃদ্ধ চাঁন মিয়ার আত্মচিৎকারে পথচারী মিন্টু মিয়া, হায়দার, এছরাফিল সহ চাঁন মিয়ার ছোট ছেলে আসাদুজ্জামান আহত বৃদ্ধকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। কয়েকদিন হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়ে বৃদ্ধ চাঁদ মিয়া এখন কিছুটা সুস্হ রয়েছে।
চাঁদ মিয়ার ছেলে আসাদুজ্জামান বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবাকে অন্যায় ভাবে মারধোর করে জমি বন্ধকের ২লক্ষ টাকা ছিনতাই করেছে। বিভিন্ন সময়ে তার দলবল নিয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
ইতিপূর্বেও অভিযুক্ত মনজুরুল এর বিরুদ্ধে জমি দখল, মাছ চাষে বাঁধা দেওয়া, হুমকি-ধামকি, ভয়ভীতি দেখানোর কারণে স্হানীয় সামসুল হক লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুবিচার পায়নি।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত মনজুরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা, আমি টাকা ছিনতাই করিনি। তদন্ত করলে সত্য বিষয়টি উদঘাটন হবে।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।