রাজবাড়ীতে শাহিন ফকির শাফিন (৪৫) নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সাড়ে ১১ টার দিকে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর আরএএস ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
শাহিন ফকির শাফিন বসন্তপুর ইউনিয়নের বড় ভবানীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে এবং বসন্তপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
শাহিন ফকির শাফিনের ছোটভাই মিলন ফকির বলেন, আমার ভাই মহারাজপুর আরএএস ইটভাটার একজন ব্যবসায়ীক অংশীদার। সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি ভাটায় বসেছিলেন। হঠাৎ বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসী গফুর শিকদারের নেতৃত্বে রায়হান, আসাদ কাজী, শরিফ খান, সেলিমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ধারালো চাপাতি ও লোহার রড নিয়ে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। এসময় তারা চাপাতি দিয়ে আমার ভাইয়ের চোখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসক তাকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার করেন। আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কারণে আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে বিএনপি পন্থী সন্ত্রাসীরা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. শেখ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথা ও চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে। তার মাথায় ৮ টি সেলাই লেগেছে। এছাড়া মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তার ডান চোখ। চোখের ভেতরের কন্টেন্টগুলো সব বের হয়ে গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে তার চোখটি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। এ চোখ দিয়ে তিনি আর দেখবেন কি না তা সন্দেহ আছে। তারপরও তাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম. আবুল কালাম আজাদ বলেন, যুগলীগ নেতাকে কোপানোর ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এরসঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।