নাম তার ফেন্সি কালাম। সকল প্রকার মাদক বিক্রয় করলেও পাবনা শহরের সবার কাছে ফেন্সি কালাম নামেই বেশি পরিচিত। আকারে ছোট, গোল ভুড়ি, তাকে একবার দেখলেই পরেরবার চিনতে ভুল হয় না। কিন্তু মাথার উপর পাবনার প্রভাবশালী আওয়ামীলীগের নেতার হাত থাকার কারণেই হয়তো প্রশাসন তাকে চোখে দেখতো না।
বলছি পাবনা সদরের অনন্ত বাজার এলাকার মৃত দবির উদ্দিনের ছোট পুত্র আবুল কালাম এর কথা। পিতার রেখে যাওয়া শহরের বাড়ি ছাড়া আর তেমন কিছুই নাই। এই সেদিনও নুন আনতে পানতা ফুরানোর মত অবস্থা থাকলে বিএনপি থেকে আওয়ামীলীগে যোগদানের পর থেকে মাদকের ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ এর মত অবস্থা হয়ে গেছে। এখন তার পিতার রেখে যাওয়া বাড়ির পাশে আরও একটি একতলা বাড়ি করেছে। শহরের মধ্যে বড় দোকান আছে। বউয়ের আছে ভরি ভরি গহণা।
কিভাবে আর কার প্রভাবে এত টাকা সম্পত্তির মালিক হলো সে? খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় অনন্ত-চর অঞ্চলের গড ফাদার আব্দুল আহাদ বাবুর ছত্রছায়ায় সে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তার কাছে আছে কিছু অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। যা সে কারো উপর প্রভাব খাটানো বা কোথাও ঝামেলা লাগলে শো-আপ করতো। মাদক ব্যবসায়ী কামালের নাম ভাঙ্গিয়ে সে একসময় ব্যবসা করেছে। মাদক ব্যবসায়ী কামালের মৃত্যুর পর সে আহাদ বাবুর প্রভাবে সরাসরি কোন প্রকার রাকঢাক না মাদক ব্যবসা শুরু করে। তার মাদকের ব্যবসার সহযোগী হিসেবে কাজ করে রবিন (কালামের ভাস্তি), রানা (বিএনপি নেতা), মারুফ (কালামের ভাইরা), সাজিদ (কালামের শালা) আরও কিছু উঠতি বয়সী ছেলে।
ফেন্সি কালামের মাদকের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস রাখে না। তার কারণে অনন্ত অঞ্চল মাদকের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। তার নামে ১টি হত্যা মামলা, অনেকগুলো মাদকের মামলাসহ মারামারি মামলা আছে। এমনকি ৫ই আগষ্টের পরেও তাকে বুক ফুলিয়ে ঘুরতে দেখা যায়। তার ফেসবুকের পোষ্ট দেখলে বোঝা যায় সে কতটা উগ্র ও বেপরোয়া। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য এলাকার সচেতন মানুষগুলো পাবনা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছে বলে জানায় দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি কে।ফেন্সি কালামের মত আরও যারা মাদক ব্যবসায়ী আছে তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দেশটাকে মাদকমুক্ত করতে।