ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা দুই দফা দাবিও পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন।
শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধকরণের লক্ষ্যে দুইটি দাবি জানান। সেগুলো হলো:
১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের দলীয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. অবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৫ বছরে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিশেষ করে ছাত্রলীগ যে সিস্টেম চালু করে রেখেছিল, তা থেকে পরিত্রাণ পেতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মরিয়া হয়ে রয়েছেন। এমনকি দলীয় ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি পরিপক্ব করার তাগিদে তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ করিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন করেন। হলগুলোতে গেস্টরুম, গণরুমের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক প্রহসন চালানো হয় শুধু তাদের ফ্যাসিবাদী স্বার্থ হাসিল করার জন্য।
শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির বিপক্ষে এবং ডাকসুর পক্ষে উল্লেখ করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ধরনের নোংরা দলীয় রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমরা ক্যাম্পাসে বিরাজনীতিকরণের পক্ষে নই; বরং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক নির্বাচন করার পক্ষে। ডাকসু নির্বাচন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। ইতোমধ্যে, আন্দোলনের সময় বিভিন্ন হল থেকে দলীয় ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে সব রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার মুক্তির ৯ দফা দাবির অন্যতম প্রধান দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে সব ধরনের দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ চাই।