পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদী বিক্ষোভ ভিন্ন দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। এই আন্দোলন এখন পরিণত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) ‘নবান্ন’ ঘেরাও করে আন্দোলনকারীরা। অনেক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় আন্দোলনকারীরা। আটক করা হয় অন্তত দুই শতাধিক বিক্ষোভকারীকে। এর জেরে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গে ১২ ঘণ্টার ‘বাংলা বনধের’ ডাক দিয়েছে রাজ্য বিজেপি।
গেল লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের বিপক্ষে পেরে উঠতে পারেনি বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতে পারেনি। এবার আরজি কর ইস্যুতে মমতাবিরোধী ক্ষোভ কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। বলা যায়, রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, বুধবার বন্ধ সফল করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। =সকাল থেকেই পথে নেমেছে বিজেপি। বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের সঙ্গে সংঘর্ষেও জড়িয়েছে তারা। ইতোমধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে নেমেছে বিজেপির কর্মীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাজার বন্ধ এবং মেট্রো পরিষেবা অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সকাল থেকে পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, কৃষ্ণনগর, মালদহ, রানাঘাট, মুর্শিদাবাদ, শিয়ালদহসহ বিভিন্ন স্টেশনে রেল চলাচল ব্যাহত হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী কলকাতা শহরের আশপাশের বিভিন্ন স্টেশনে ‘রেল রোকো’ পরিকল্পনাও রয়েছে বিজেপির।