রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে আইন বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপকের নাম ও ছবি ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়।
কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেন পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
যদিও অভিযোগের সত্যতা জানতে সাংবাদিক পরিচয়ে সেই আইডিতে একাধিকবার খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের একটি ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছে আইন বিভাগ।
মঙ্গলবার দুপুরে বিভাগের অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সত্যানুসন্ধান কমিটির সদস্য মো. আবদুল আলীম বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি সত্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদেরকে যথোপযুক্ত প্রমাণসহ অভিযোগ কমিটির সদস্যদের জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।’
কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদা আঞ্জুকে। এ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম, অধ্যাপক শাহীন জোহরা ও সহযোগী অধ্যাপক সালমা আখতার খানম।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাঈদা আঞ্জুর স্বাক্ষরিত অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের একটি কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
সেখানে বলা হয়েছে, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করে। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ব্যক্তিগতভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভাগের এক সহযোগী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনয়ন করেছে।
অভিযোগের আলোকে অ্যাকাডেমিক কমিটি সর্বসম্মতভাবে একটি ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করেছে। কমিটি আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আইন বিভাগের সভাপতির নিকট পেশ করবে। এ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ক্লাস, পরীক্ষা তথা সব প্রকার অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম হতে বিরত থাকতে বলা হলো।’
এদিকে ওই ফেসবুক পোস্টের পর যৌন নিপীড়ন ও শিক্ষার্থী হেনস্তায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন এবং প্রমাণ সাপেক্ষে শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।