রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। রোববার উৎস সরকার নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় এ মামলা করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান মামলার বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার বাদী উৎস সরকার রাজাবাড়ী সদর উপজেলার বাবলু সরকারের ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার সক্রিয় সদস্য।
মামলার আসামিরা হলেন-রাজবাড়ী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন শেখ, দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের জামাল খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, শরীফ, সুমন, স্বাধীন, অনিক, আজো, শরীফ, সুমন শেখ, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ইফতি হক সৌরভ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহাগ, মাসুদ রানা মাসুদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গৌতম, মিতুল, শেখ মো. আবির, নাহিদ, ছাত্রলীগ নেতা ফাইজুর রহমান নিলয়, আতাহার, ফাহিম, রাসেল, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ রায়হান ইফতি, সুনাই সরদার, মো. রমজান আলী রনো, ফরিদ, নিপু, মমিন, মোহাম্মদ করিম, সোহেল মোল্লা, পারভেজ মোল্লা, আরজুন শেখ, রমজান শেখ, পৌর ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর, হান্নান সরদার, মো. আব্দুল রাজ্জাক, সদর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা পিংকন, রেজওয়ান, ছাত্রলীগ নেতা তমাল, বাণীবহ ইমরান ছাত্রলীগ সভাপতি রাব্বি, রব্বানী, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও আরও শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ ও ডা. আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সারা দেশে ন্যায় রাজবাড়ীতেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের শান্তিপূর্ণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য রাজবাড়ীর টিএন্ডটি পাড়া এলাকায় জমায়েত হন। ওই সময় শিক্ষার্থীসহ জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের ওপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে ওই সময় শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষার্থীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। তখন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের মারাত্মকভাবে মারধর করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. নজরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমি ছুটিতে আছি। মামলার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখারুল আলম প্রধান যুগান্তরকে বলেন, মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মামলাটি দ্রুত তদন্ত করে রাজবাড়ী সদর থানার অফিসার উপ-পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানান তিনি