ঢাকা ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ মালিক সমিতি ভাটারা থানা কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে ফ্যাসিস্ট বিরোধী যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে তাদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে: নজরুল ইসলাম খান কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু ভোলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার নেতাকর্মীদের ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করার শপথ করালেন, আমিনুল হক দৌলতের কান্দিতে অন্যরকম এক বিদায় সংবর্ধনা পেল শিক্ষক সেলিনা আক্তার চিন্ময়ের গ্রেফতার ও সাইফুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত অপতথ্য ছড়িয়েছে বাংলাদেশকে ২২৬৫ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে জার্মানি দুদকের মামলায় অব্যাহতি পেলেন জামায়াত সেক্রেটারি

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করে যা বললেন কঙ্গনা

বেফাঁস মন্তব্য করে প্রায় সময় সমালোচনার শিকার হন বলিউড অভিনেত্রী ও হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাউত। এবারে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। মোদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঠোর না হলে ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই প্রসঙ্গ তুলে এক এক্স বার্তায় কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন কঙ্গনা।

সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করা ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করে কঙ্গনা বলেন, যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে, সেটা এদেশে ঘটতেও দেরি হতো না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাতো। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক মৃতদেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে, সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।

অভিনেত্রী বলেন, কিছু কৃষক আইন প্রত্যাহারের পরও আন্দোলন চালিয় গেছেন। এ ধরনের আন্দোলনের পেছনে আপনার কী মনে হয় কৃষকদের হাত আছে! নাহ, এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এ ধরনের বিদেশি শক্তি এভাবেই ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আর এখানকার কিছু লোকজন ভাবে, ওদের দোকান তো চলুক, তাতে দেশ গোল্লায় যাক। এই লোকজন এটা বোঝে না, দেশ গোল্লায় গেলে আপনিও যাবেন।

কঙ্গনার এই মন্তব্যে তার নিজের দলের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাঞ্জাবের সিনিয়র বিজেপি নেতা হারজিৎ গারেওয়াল রানাউতকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষকদের নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার কঙ্গনার ডিপার্টমেন্টের নেই। কঙ্গনার বক্তব্য ব্যক্তিগত। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপি কৃষক বান্ধব। বিরোধী দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং কঙ্গনার বিবৃতিও তাই করছে। সংবেদনশীল বা ধর্মীয় বিষয়ে তার এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়।

এর আগে গত জুনের শুরুতে ‘কৃষকদের অসম্মান’ অভিযোগে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কনস্টেবলের হাতে চড় খান কঙ্গনা রানাউত। চড় মারার পর অভিযুক্ত কনস্টেবল বলেছেন, তার এই আচরণ ‘কৃষকদের অসম্মান’ করার জন্য ছিল, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ১৫ মাসব্যাপী প্রতিবাদ এবং আইনি গ্যারান্টিসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর কথা মনে করে তিনি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে এক্সে আলোচিত ‘১০০ রুপি’ মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। বলিউড তারকা ওই পোস্টে দাবি করেন, এক বয়স্ক নারী তাকে বলেছিলেন যে ১০০ রুপি দিলে তিনি আসবেন, অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করবেন।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহী পলিটেকনিক এক্স স্টুডেন্টস ফোরাম (আরপিইএসএফ) এর নির্বাচন ২০২৪-২৬ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করে যা বললেন কঙ্গনা

আপডেট সময় ১১:০১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪

বেফাঁস মন্তব্য করে প্রায় সময় সমালোচনার শিকার হন বলিউড অভিনেত্রী ও হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপির সংসদ সদস্য কঙ্গনা রানাউত। এবারে বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন তিনি। মোদি কৃষক আন্দোলন নিয়ে কঠোর না হলে ভারতের অবস্থাও বাংলাদেশের মতো হতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।

উল্লেখ্য, গেল ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই প্রসঙ্গ তুলে এক এক্স বার্তায় কৃষকদের আন্দোলন নিয়ে কথা বলেন কঙ্গনা।

সামাজিকমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করা ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনকে কটাক্ষ করে কঙ্গনা বলেন, যেটা বাংলাদেশে ঘটেছে, সেটা এদেশে ঘটতেও দেরি হতো না। যদি আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টা শক্ত হাতে না সামলাতো। এখানে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল, সেই অন্দোলনের সময়ও অনেক মৃতদেহ মিলেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আর যখন কৃষি আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো, তখন গোটা দেশ অবাক হয়ে গিয়েছিল। কৃষকরাও ভাবতে পারেননি যে, সত্যিই এই আইন প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। ওটা অনেক বড় পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশে ঘটেছে।

অভিনেত্রী বলেন, কিছু কৃষক আইন প্রত্যাহারের পরও আন্দোলন চালিয় গেছেন। এ ধরনের আন্দোলনের পেছনে আপনার কী মনে হয় কৃষকদের হাত আছে! নাহ, এটা আমেরিকার ষড়যন্ত্র। এ ধরনের বিদেশি শক্তি এভাবেই ষড়যন্ত্র করতে থাকে। আর এখানকার কিছু লোকজন ভাবে, ওদের দোকান তো চলুক, তাতে দেশ গোল্লায় যাক। এই লোকজন এটা বোঝে না, দেশ গোল্লায় গেলে আপনিও যাবেন।

কঙ্গনার এই মন্তব্যে তার নিজের দলের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পাঞ্জাবের সিনিয়র বিজেপি নেতা হারজিৎ গারেওয়াল রানাউতকে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, কৃষকদের নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার কঙ্গনার ডিপার্টমেন্টের নেই। কঙ্গনার বক্তব্য ব্যক্তিগত। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং বিজেপি কৃষক বান্ধব। বিরোধী দলগুলো আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং কঙ্গনার বিবৃতিও তাই করছে। সংবেদনশীল বা ধর্মীয় বিষয়ে তার এই ধরনের বিবৃতি দেওয়া উচিত নয়।

এর আগে গত জুনের শুরুতে ‘কৃষকদের অসম্মান’ অভিযোগে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর একজন কনস্টেবলের হাতে চড় খান কঙ্গনা রানাউত। চড় মারার পর অভিযুক্ত কনস্টেবল বলেছেন, তার এই আচরণ ‘কৃষকদের অসম্মান’ করার জন্য ছিল, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের ১৫ মাসব্যাপী প্রতিবাদ এবং আইনি গ্যারান্টিসহ অন্যান্য বিষয়গুলোর কথা মনে করে তিনি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেননি।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে এক্সে আলোচিত ‘১০০ রুপি’ মন্তব্য করেছিলেন কঙ্গনা। বলিউড তারকা ওই পোস্টে দাবি করেন, এক বয়স্ক নারী তাকে বলেছিলেন যে ১০০ রুপি দিলে তিনি আসবেন, অর্থাৎ টাকার বিনিময়ে আন্দোলন করবেন।