উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি নতুন আত্মঘাতী ড্রোনের কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেছেন। ড্রোনটি কীভাবে একটি মক ট্যাঙ্কসহ নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করে সেটাই পর্যবেক্ষলণ করেছেন তিনি। এ সময় মানববিহীন যানবাহনের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কিম।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সোমবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
কেসিএনএ জানায়, গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার অ্যাকাডেমি অব ডিফেন্স সায়েন্সেসের ড্রোন ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন কিম। সেখানে তিনি বিভিন্ন ড্রোনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন।
এ সময় কৌশলগত পদাতিক বাহিনী ও বিশেষ অভিযান ইউনিটে ব্যবহার করার জন্য আরও বেশি আত্মঘাতী ড্রোন তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন কিম। পানির নিচে হামলা, কৌশলগত নিরীক্ষণ ও বহুমুখী আক্রমণ করতে পারে আত্মঘাতী ড্রোনগুলো।
এই ড্রোনগুলো লোটারিং যুদ্ধাস্ত্র হিসাবেও পরিচিত। ইউক্রেনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে এই ধরনের অস্ত্রগুলো।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলোতে কমপক্ষে চারটি ভিন্ন ধরনের ড্রোন দেখানো হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একীকরণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই প্রথম আত্মঘাতী ড্রোনের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া।
গত কয়েক বছরে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পারমাণবিক কর্মসূচিতে বড় ধরনের অগ্রগতি করেছে উত্তর কোরিয়া। সেই সঙ্গে নিজেদের কৌশলগত যুদ্ধের সক্ষমতা বাড়িয়েছে।