প্রেসক্লাব,রংপুরের অনিয়ম,বৈষম্য ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুরের ব্যানারে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। (২৫আগষ্ট) রোববার দুপুর আড়াইটায় রংপুর নগরীর কাচারী বাজার জিরো পয়েন্ট মোড়ে এ প্রতিবাদ, মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। মানববন্ধনে প্রেসক্লাব,রংপুরকে বৈষম্যমুক্ত করতে ৫ দফা দাবি তুলে ধরেন ষ্মারকলিপিতে।বলা হয় ৫৯ বছরের অনিয়ম দুর্নীতি বৈষম্য দুর করে জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিককে অন্তর্ভুক্ত করে উন্মুক্ত করা। বর্তমান ফ্যাসিস্ট কমিটি বাতিল করে আহবায়ক কমিটি দিতে হবে। গঠনতন্ত্রে কালাকানুন ও কুক্ষিগত ক্ষমতার কারনে রংপুরে কর্মরত জনপ্রিয় ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার মুলধারার ২ শতাধিক সাংবাদিক অধিকার বঞ্চিত, বৈষম্যের দূর করতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত অডিট না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তার বলেন, যদি এ সময়ের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হয়, তবে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক এস.এম জাকির হুসাইন, শরিফা বেগম শিউলী, শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক স্বাধীন, রবিন চৌধুরী রাসেল, রিপন, মেহবুব পারভেজ সুমন, মেহেদী হাসান মুন, জুয়েল মাজহারুল,কনক আকতার শিল্পী সহ বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখযোগ্য বক্তব্যের মাঝে সাংবাদিক আতিকুর রহমান আতিক বিশেষ প্রতিনিধি গণকন্ঠ তিনি বলেন ৫৯ বছরের ইতিহাস আমরা জানি,আমাদেরকে অনেক লাঞ্ছনা বঞ্চনা অবাঞ্চিত ঘোষণা করেছেন। এখন সময় এসেছে কালো আইন বাতিল করে সকল গণমাধ্যম কর্মীর মিলনমেলা সৃষ্টি করুন।
বৈষম্য আন্দোলনের অন্যতম সদস্য সাংবাদিক জাকির হোসেন তিনি বলেন, যত বছর হয় সৃষ্টি হয়েছে সাংবাদিকের কল্যাণে রংপুর প্রেসক্লাব অদ্যবধি ততদন সদস্য নেওয়া হয়নি। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন এগুলোর হিসাব চাওয়ার এখনই দিন রাষ্ট্র সংস্কার হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের ২ নং মহিলা সদস্য কি করে এখনো প্রেসক্লাবের চেয়ার দখল করে নিজের ক্ষমতার পাহাড় দেখাচ্ছে এটা বোধগম্য নয় আমি ৪৮ ঘণ্টার সময় দিচ্ছি যদি এর মাঝে রংপুর জেলার সকল গণমাধ্যম কর্মীর মিলন মেলার স্থান খুলে না দেওয়া হয় কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন দেওয়া হবে।
সাংবাদিক শহীদুল ইসলাম রংপুর ব্যুরো চিফ দৈনিক আমাদের মাতৃভূমি, তিনি বলেন আমরা রোদে-পুড়ি,বৃষ্টিতে ভিজে নিজের চিন্তা না করে পরিবারের চিন্তা না করে সংবাদ সংগ্রহের কাজে ছোটাছুটি করি আমাদেরও আছে নিয়োগ আছে আইডি কার্ড, তাহলে আমরা কেন আমাদের বসার স্থানে বসতে পারবো না?আমাদের মাথা বিক্রি করে প্রেসক্লাব।এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে সকলকে একযোগে লড়তে হবে নিজেদের অধিকার নিজেরাই আদায় করে নিতে হবে।