ঢাকা ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভয়ানক তথ্য পাওয়া গেল ‘জুয়া ও কোটিপতির’ গ্রাম নিয়ে চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট টঙ্গীতে যুবতীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ জাজিরায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু তারেক রহমানের নেতৃত্বেই স্বৈরাচারের পতনের মধ্যদিয়ে দেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে: মোস্তফা জামান বিচারের আগে আওয়ামী লীগের কোনো পূর্ণবাসন নয় – হাসনাত আবদুল্লাহ পাঁচবিবিতে মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে আলোচনা সভায় গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও বৈদেশিক নীতির সরলীকরণ: ভোলার হত্যা মামলার পলাতক আসামী ঢাকায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কাশিমপুরে চলছে জমজমাট মেলা নষ্ট হচ্ছে বাচ্চাদের লেখাপড়া।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি সোহেল রানার

মুক্তিযোদ্ধা ও নায়ক সোহেল রানা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি।

সোমবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছে, সম্মানী পেয়েছে। ৩০ লাখ শহিদকে আমরা কী দিয়েছি উত্তর দিয়ে তারপর চিৎকার করুন। কোটা সিস্টেম বাতিল, সম্পূর্ণ বাতিল।’

ওই পোস্টের প্রায় সাত ঘণ্টা আগে তিনি লেখেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। নিজ মেরিটে তারা ভর্তি হবে, পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো এ ধরনের সুযোগ চাইনি, সম্মান যখন নেই, তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদের সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সম্মানী দেওয়া ছাড়া তাদের জন্য আপনারা কী করেছেন মুখে মুখে? তাদের জন্য মায়াকান্না করেছেন। ড্রেস থেকে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল, আমরা সেটাই করেছি। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক। এটা দেশের সবার দাবি।’

লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার নায়ক হিসেবে তার নাম হয় মাসুদ রানা। এই ছবির মাধ্যমে তিনি পরিচালক মাসুদ পারভেজ হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।

শিক্ষাজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এজিএস, ১৯৬৮ সালে পুরো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ছাত্রলীগের তুখোড় এই নেতা ২০০৯ সালে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। পরে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টাও হন তিনি।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভয়ানক তথ্য পাওয়া গেল ‘জুয়া ও কোটিপতির’ গ্রাম নিয়ে

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি সোহেল রানার

আপডেট সময় ১০:৫৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা ও নায়ক সোহেল রানা সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দৃঢ় কণ্ঠে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করেছেন তিনি।

সোমবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা সম্মান পেয়েছে, সম্মানী পেয়েছে। ৩০ লাখ শহিদকে আমরা কী দিয়েছি উত্তর দিয়ে তারপর চিৎকার করুন। কোটা সিস্টেম বাতিল, সম্পূর্ণ বাতিল।’

ওই পোস্টের প্রায় সাত ঘণ্টা আগে তিনি লেখেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বারবার বলা হচ্ছে কেন? দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫৩ বছর। তার সঙ্গে যদি আরও ১২ বছর যোগ করা হয় তাহলে তার বয়স হয় ৬৫। এই বয়সে তো নিশ্চয়ই কেউ চাকরির জন্য চেষ্টা করে না বা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় না। তাদের সন্তানদের বাবার জন্য কোটা সিস্টেমে চাকরি এবং ভর্তি হতে হবে, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করার শামিল। নিজ মেরিটে তারা ভর্তি হবে, পরীক্ষা দেবে এবং চাকরিতেও ইন্টারভিউ দেবে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা কখনো এ ধরনের সুযোগ চাইনি, সম্মান যখন নেই, তখন এই ধরনের সুযোগ দিয়ে তার সন্তানদের সম্মান দেখানো একটা অপচেষ্টা মাত্র।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘সম্মানী দেওয়া ছাড়া তাদের জন্য আপনারা কী করেছেন মুখে মুখে? তাদের জন্য মায়াকান্না করেছেন। ড্রেস থেকে চিকিৎসা বা চলাফেরা কোনো কিছুতেই কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি তাই আমরা কখনোই কিছু চাইনি। জাতির পিতার নির্দেশে দেশ স্বাধীন করার দরকার ছিল, আমরা সেটাই করেছি। সর্বস্তরে এই কোটা সিস্টেম বাতিল করা হোক। এটা দেশের সবার দাবি।’

লেখক কাজী আনোয়ার হোসেনের চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে ‘মাসুদ রানা’ সিনেমার নায়ক হিসেবে তার নাম হয় মাসুদ রানা। এই ছবির মাধ্যমে তিনি পরিচালক মাসুদ পারভেজ হিসেবে পরিচিতি পান। ১৯৭৪ সালে মুক্তি পায় ছবিটি।

শিক্ষাজীবনে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সোহেল রানা। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের এজিএস, ১৯৬৮ সালে পুরো পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ছাত্রলীগের তুখোড় এই নেতা ২০০৯ সালে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। পরে প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনবিষয়ক উপদেষ্টাও হন তিনি।