ঢাকা ০৩:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ধামইরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় পর্ব অনুষ্ঠিত  ধামইরহাটে নারী জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত ছাগল চড়াতে গিয়ে আলমডাঙ্গার বলরামপুরে ট্রেনে কেটে এক বৃদ্ধ নিহত বগুড়ায় দীর্ঘ ১২ বছরে সন্তানকে না পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা ও দেশবাসি কাছে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও বিচারের দাবিতে দুঃখিনী মায়ের মানববন্ধন হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার না করলে সড়ক অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা ববি’র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আত্রাইয়ে বান্দাইখাড়া টেকনিক্যাল বিএম কলেজে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুয়েটে ছাত্রদল ও বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে ববি’তে বিক্ষোভ মিছিল এনআরবিসি ব্যাংক নবীনগর শাখা উদ্বোধন করা হয় শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈসম্য কেন? লংগদু রেড ক্রিসেন্ট এর উদ্যোগের পাটি ও বালতি বিতরণ করা হয়

সম্পদের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নওরীন হাসিব এবং তার বাবা পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী।

তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩ মার্চ দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

টেরিটাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও ১৩ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের আত্মসাৎ করা ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি আর নন-ফান্ডেডের পরিমাণ ১৮৪ কোটি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৩০৭ কোটি, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকা। আর প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৬৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৩ কোটি, যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১০৮ কোটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা। বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ধামইরহাট বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় পর্ব অনুষ্ঠিত 

সম্পদের মামলায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট

আপডেট সময় ০৩:০৯:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা না দেওয়ায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের তিন মালিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশন থেকে ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে বলে ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক।

যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তারা হলেন—বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক ও মেসার্স সাহরিশ কম্পোজিট টাওয়াল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) খাজা সোলেমান চৌধুরী, একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী নওরীন হাসিব এবং তার বাবা পরিচালক সফিকুল আনোয়ার চৌধুরী।

তাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩ মার্চ দুদক আইনের ২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

টেরিটাওয়েল (তোয়ালে জাতীয় পণ্য) উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বিসমিল্লাহ গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১২০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর মতিঝিল ও রমনা মডেল থানায় বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি ও ১৩ কর্মকর্তাসহ ৫৩ জনের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা দায়ের করে দুদক। এরপর ২০১৫ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলার চার্জশিট দাখিল করে সংস্থাটি। বর্তমানে মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিসমিল্লাহ গ্রুপের আত্মসাৎ করা ফান্ডেড টাকার পরিমাণ ৯৯০ কোটি আর নন-ফান্ডেডের পরিমাণ ১৮৪ কোটি। এর মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্পোরেট শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৩০৭ কোটি, মগবাজার শাখা থেকে ১৭৭ কোটি ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকা। আর প্রাইম ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৬৫ কোটি, প্রিমিয়ার ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে ২৩ কোটি, যমুনা ব্যাংকের দিলকুশা শাখা থেকে ১০৮ কোটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৯৩ কোটি টাকা। বিসমিল্লাহ গ্রুপের এমডি খাজা সোলেমান চৌধুরী ও তার স্ত্রী নওরীন হাবিব ১২ মামলারই চার্জশিটভুক্ত আসামি।