ঢাকা ০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ বোরহানউদ্দিন সাংস্কৃতিক সংসদ কমিটি গঠন রসিক মেয়র কে দুদকের চিঠি সরিষার ক্ষেতের সৌন্দর্যের আড়ালে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে জমি দখলের চেষ্টা। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা ,পুণরায় ফলপ্রকাশের দাবিতে কুমিল্লায় মানববন্ধন সাংবাদিক সুরক্ষা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উৎদোগে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা-২০২৫ সম্পূর্ণ। ফরিদগঞ্জে সিএনজি ছিনতাই অপরাধে আটক একজন। যে কোটার জন্য আমার ভাই মরলো, যে কোটার জন্য সরকার পতন হলো, সে কোটা আনল কারা? বকশীগঞ্জের নিলক্ষিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ৫ সদস্যকে বহিস্কারের দাবি

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাতে ফের সুরমা নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সোমবার সারা রাতের বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে শহরে ফের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০টি পরিবার এরইমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। বসতভিটায় পানি ওঠায় বাধ্য হয়ে সোমবার রাত থেকে পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে শ্রমজীবী মানুষগুলো। গ্রামীণ সড়ক একের পর এক ডুবছে। জেলার ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোত যাচ্ছে। এছাড়া, সোমবার থেকেই প্লাবিত আছে জেলার ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। ভোগান্তিতে আছে দুই লাখের বেশি মানুষ।

জেলার সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই, জগন্নাথপুর, ছাতক, দিরাই, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পনিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। এই ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রামের বসতভিটায় পানি আসায় মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

ছাতকের বাসীন্দারা বলেন, ২২-এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। কী হবে এখনো জানি না।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতকের নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।

নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে চারদিকে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

অপ্রত্যাশিত ঘটনার দ্বারা শেষ হলো গোয়ানঘাটের আন্তঃ ইউনিয়ন অনূর্ধ্ব ১৭ এর (বালক) ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ

সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

আপডেট সময় ১২:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪

সুনামগঞ্জে ভারি বৃষ্টিপাতে ফের সুরমা নদীর পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। সোমবার সারা রাতের বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার ভোর রাত থেকে সুনামগঞ্জে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে শহরে ফের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।

সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০টি পরিবার এরইমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। বসতভিটায় পানি ওঠায় বাধ্য হয়ে সোমবার রাত থেকে পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে শ্রমজীবী মানুষগুলো। গ্রামীণ সড়ক একের পর এক ডুবছে। জেলার ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোত যাচ্ছে। এছাড়া, সোমবার থেকেই প্লাবিত আছে জেলার ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। ভোগান্তিতে আছে দুই লাখের বেশি মানুষ।

জেলার সুনামগঞ্জ সদর, শান্তিগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই, জগন্নাথপুর, ছাতক, দিরাই, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর উপজেলার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়ক পনিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব উপজেলার বাসিন্দারা। এই ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রামের বসতভিটায় পানি আসায় মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

ছাতকের বাসীন্দারা বলেন, ২২-এর বন্যার চেয়ে ভয়ানক রুপ নিচ্ছে এবারে বন্যা। আমরা ছেলে-মেয়ে নিয়ে বিপাকে আছি। কী হবে এখনো জানি না।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ কাঁচা সড়ক। পাহাড়ি ঢলের স্রোতের ধাক্কায় ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবতী নীজগাঁও, রতনপুর, বাগানবাড়ি, নোয়াকোট, ধনীটিলা, ছনবাড়ী, দারোগাখালী সড়ক সহ নব নির্মিত ৮-১০টি কাঁচা সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে যেকোনো সময় দেশের সাথে ছাতকের সড়ক যাগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ছাতকের নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তাফা মুন্না বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতসহ প্রাথমিক সব ধরনের প্রস্তুতি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।

নদীগুলোর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে চারদিকে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার।