সরকার আবারো নতুন করে বিএনপিসহ বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করতে ‘ভয়ঙ্কর ক্র্যাকডাউনের’ পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দেশজুড়েই একদলীয় ভোটারবিহীন ডামি সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে জনগণের পদধ্বনি বাড়ছে। সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে জনগণের সুদৃঢ় ইস্পাত কঠিন ঐক্য অবলোকন করে ভীতসন্ত্রস্ত ক্ষমতাসীনরা।
রোববার বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, গত ২৮ অক্টোবর জনগণের মহাসমাবেশ লণ্ডভণ্ডের মাধ্যমে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে সংঘাত সৃষ্টি করে বিরোধী দলের ওপর দমন অভিযান চালিয়েছে, একই কায়দায় শনিবার যুবদলের সমাবেশের দিনে গোয়েন্দা সংস্থা ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পলিথিন ব্যাগের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের নাটক সাজানো হয়েছে।
যুবদলের সমাবেশস্থলের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে সরকারি গোয়েন্দাদের দ্বারা সৃষ্ট বলেও অভিযোগ রিজভীর।
তিনি আরও বলেন, গত শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে গণজোয়ার দেখে হিতাহিত জ্ঞানশুন্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য তিনি হুংকার দিয়ে বলেছিলেন, বিএনপি আবার নৈরাজ্য করলে আগে তো একটা শিক্ষা দিয়েছি, এবার ডাবল শিক্ষা দেব। আমরা বসে নেই। ওবায়দুল কাদের সাহেবের ডাবল শিক্ষা দেওয়ার ঘোষণার পরই আওয়ামী নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও অরাজকতা করতে এজেন্টরা মাঠে নেমেছে। তারাই নয়াপল্টনে পলিথিনের ভেতর ককটেল রেখে এক ভবঘুরে কিশোরকে আহত করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় পুলিশ। তারা পরিকল্পিতভাবে আরও নৈরাজ্য সহিংসতা করতে পারে বলে জনগণ সন্দেহ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসান, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুবদল নেতা কামরুজ্জামান দুলাল, গোলাম মওলা শাহীন, ইসহাক সরকার, আব্দুল করিম সরকার, খাদেমুল ইসলাম প্রমুখ।