তিস্তা সেচ প্রকল্প উন্নয়নের নামে বনবিভাগের ৪ লাখ গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
রোববার এক বিবৃতিতে এ উষ্মা প্রকাশ করে গাছ কাটা বন্ধ রেখে নতুন করে বনায়নের দাবি জানান তিনি।
জিএম কাদের বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে দেশ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় দেদারছে গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ক্ষমার অযোগ্য।
তিনি বলেন, গাছের অভাবে দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। দেশ ও পরিবেশের বিরুদ্ধে কাদের স্বার্থে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে- তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন বিরোধীদলীয় নেতা।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান আরও বলেন, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ- তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলসহ টারশিয়ারি এবং সেকেন্ডারি খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের নামে ৪ লাখ গাছ কাটছে বনবিভাগ। ইতোমধ্যেই দিনাজপুরে খালের নীলফামারী সদরের চান্দের হাট বাহালীপাড়া এলাকায় অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। ওই এলাকায় এর আগেও গাছ কাটা হলেও নতুন করে বনায়ন করা হয়নি। এর বিরূপ প্রভাবে তিস্তার অনেকাংশ মরুভূমি হতে চলেছে। আবার নীলফামারী সদর ও ডিমলা উপজেলার প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ গাছ কাটা হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নে এতো বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ নিধন কেন অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াল- এটা বোঝা মুশকিল। সমালোচকদের মতে, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অতিরিক্ত গাছ কেটে বিক্রির মাধ্যমে আরও অধিক মুনাফা অর্জনই এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ কি না- তা তদন্ত করা প্রয়োজন।