নারী-পুরুষ সবাই সুস্থ, মজবুত ও ঝলমলে চুল পেতে চায়। সুন্দর চুল পাওয়ার জন্য দামী সব উপাদান ব্যবহার করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। ত্বকের মতো সুস্থ চুল পাওয়ার জন্যও সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। যেসব খাবার খাচ্ছেন সেগুলোই হতে পারে আপনার চুল নষ্ট হওয়ার কারণ আবার এই খাবারের মাধ্যমেই পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত চুল। স্ট্রেস এবং দূষণের কারণে চুল পড়া বাড়তে পারে সেকথা আমরা প্রায় সবাই জানি। সেইসঙ্গে কিছু খাবারও আমাদের চুল পড়া ও চুল পাতলা করার জন্য দায়ী হতে পারে যা আমরা বেশিরভাগই জানি না। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমনকিছু খাবার সম্পর্কে যেগুলো আমাদের চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে-
চিনি
চিনি শুধু চুলের জন্য নয়, পুরো শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিস ও স্থুলতায় পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলতে পারে সেইসঙ্গে এটি নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই চুল পড়ার কারণ হতে পারে। তাইঅতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
ডায়েট কোমল পানীয়
ডায়েট কোমল পানীয়তে অ্যাসপার্টাম নামক কৃত্রিম মিষ্টি থাকে যা চুল পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে, এমনটাই বলছেন গবেষকরা। আপনারও যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে তবে ডায়েট কোমল পানীয় পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন।
জাঙ্ক ফুড
বেশিরভাগ জাঙ্ক ফুডেই স্যাচুরেটেড এবং মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এসব উপাদান আপনাকে কেবল স্থূলই করে না বরং কার্ডিওভাসকুলার রোগেরও জন্ম দেয়। সেইসঙ্গে এ ধরনের খাবার আপনার চুল পড়ারও কারণ হতে পারে। তৈলাক্ত খাবারের কারণে স্ক্যাল্পে চর্বি জমতে পারে। ফলে চুলের লোমকূপ বন্ধ বা ছোট হয়ে যেতে পারে। তাই ক্ষতিকর জাঙ্কফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
কাঁচা ডিমের সাদা অংশ
ডিম চুলের জন্য উপকারী একটি খাবার তবে এটি কখনো কাঁচা খাবেন না। কাঁচা ডিমের সাদা অংশ খেলে তা বায়োটিনের অভাব সৃষ্টি করতে পারে। বায়োটিন মূলত কেরাটিন উৎপাদনে সাহায্য করে। কাঁচা ডিমের সাদা অংশে থাকে থাকে এভিডিন যা বায়োটিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা শোষণে বাধা দেয়।
মাছ
উচ্চ মাত্রার পারদের কারণে হঠাৎ চুল পড়ে যেতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং অতিরিক্ত মাছ ধরার কারণে গত কয়েক দশক ধরে মাছে মিথাইল-পারদের ঘনত্ব বেড়ে যাওয়ায় পারদের সবচেয়ে সাধারণ উৎস হলো মাছ। সামুদ্রিক মাছ যেমন সোর্ডফিশ, ম্যাকেরেল, হাঙ্গর এবং কিছু প্রজাতির টুনা মাছে থাকে পারদ।