সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্ত্বরে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তার আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী।
এর আগে, গত ৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে তাকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১০ মার্চ কাজলের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ১৪ মার্চ রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
৮ মার্চ রাতে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। মামলা পর রাতেই ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন— অ্যাডভোকেট মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ (৫৫), অ্যাডভোকেট শাকিলা রৌশন, অ্যাডভোকেট কাজী বশির আহম্মেদ, ব্যারিস্টার উসমান, অ্যাডভোকেট আরিফ, অ্যাডভোকেট সুমন, অ্যাডভোকেট তুষার, রবিউল, ব্যারিস্টার চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল (৪০), অলিউর, যুবলীগ নেতা জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, অ্যাডভোকেট তরিকুল ও অ্যাডভোকেট সোহাগ। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ব্যারিস্টার কাজলসহ ছয় আইনজীবীকে গ্রেফতার করা হয়।
এই মামলার প্রধান আসামি যুবলীগের চেয়ারম্যানে শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী অ্যাডভোকেট যুথীকে আজ আগাম জামিন দিয়েছেন আপিল বিভাগ।